দিন দুই আগে থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে আরও কড়া আক্রমণ শুরু করেছেন মমতা। নাম না করেই কখনও ডাকছেন মীরজাফর বলে, কখনও বা গদ্দার বলে। এদিন তিনি দক্ষিণ কাঁথির মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, 'আমাকে আগে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না, এগরায় মিটিং করতে দেওয়া হত না। আগে ওগুলো একজনের জমিদারি ছিল। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম। কিন্তু সেই নিয়ম এখন আর নেই।'
advertisement
শুভেন্দুর নাম না নিলেও এদিন মমতা যুক্তি দিয়ে-দিয়ে বলেন, 'একসময় খুব ভালোবাসতাম। কী না করিনি। ২০১৪ সাল থেকে নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগ ছিল। মানে নিজের ঘরেই সিঁধ কেটেছে। এর থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হয় না। এদের মেদিনীপুর থেকে তাড়াতে হবে। উচ্ছেদ করতে হবে।'
শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবার নয়, তিনিই যে পূর্ব মেদিনীপুরের আসল রূপকথা, সে কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, 'আগে মৎসজীবীদের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না, আমরা তৈরি করে দিয়েছি। সহজে উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে। তাজপুর বন্দর হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার লোকের চাকরি হবে, সেই চাকরি কাঁথির ছেলে মেয়েরাও পাবে। ছোট শিল্পে আমরা আরও পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করছি। মেদিনীপুরের মানুষেরা অনেক কাজ করে।' এদিন তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি, আপনার গদ্দাররা চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে কিছু এসে যায় না।'
