যে বিরুলিয়া বাজারে তার পায়ে আঘাত লেগেছিল, রবিবার সেখানেই হাজির হন মমতা। সেখান থেকেও তিনি বলেছিলেন, 'গাড়ি সেদিন তেমন এগোচ্ছিল না। গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। আমি কথা বলছিলাম মানুষজনদের সঙ্গে। হঠাৎ করে চার, পাঁচ জন ধাক্কা দেয়। কোনও পিলারে গাড়ির ধাক্কা লাগেনি। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি, পা ফুলে গেছে। রক্ত বেরোচ্ছে। তারপর আমি পিজি হাসপাতালে যাই। আমার গোড়ালি থেঁতলে গেছে। আমার পায়ের শিরা কেটে গেছে।'
advertisement
আর মমতা তাঁর আঘাতের নেপথ্যে বিজেপির ষড়যন্ত্রের কথা বলার পরই কাঁথিতে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি বলে যান, নন্দীগ্রামবাসীকে দেশের সামনে অপমান করেছেন মমতা। যদিও নন্দীগ্রামে, নিজের ডেরায় ফিরে মমতা পালটা বলেন, 'তাঁর চোটের দায় নন্দীগ্রামবাসীদের নয়, বরং গদ্দারদের।' একইসঙ্গে বিরুলিয়ায় গিয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেই ব্যক্তিকে যিনি পায়ে লাগার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বরফ নিয়ে ছুটে এসেছিলেন।
এদিন অধিকারী পরিবারকে তুলোধনা করে মমতা আরও বলেন, 'কী দিইনি ওদের!একাধিক মন্ত্রী করেছি। লঞ্চ থেকে পেট্রোল পাম্প, আইটিআই, ট্রলার কী নেই। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আর আমাকে বলছে বহিরাগত! তুই তো কাঁথির ছেলে, তুই কী করে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলি!'
এমনকী নন্দীগ্রামের গণহত্যার সময় সেখানে পুলিশ ঢোকানোর দায় দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-শিশির অধিকারীর উপর! হুইলচেয়ারে বসেই নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো করে মমতা ফের বলেন, 'নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিপিএম, আমি ঠিক জানি না, আপনারা বলুন। বাকি আন্দোলকারীদের মামলাও আমরা স্থগিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গদ্দার বাবুর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি। ও নিজেই সিপিএমকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। আপনাদের মনে আছে, সে দিন সিপিএমের কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছিল নন্দীগ্রামে। সিপিএমের নব সামন্ত যে মেরেছিল, সে এখন বিজেপি নেতা।
'