যদিও প্রতিটি ভোট প্রচারের সভাতেই যেভাবে মা-বোনেদের প্রতি আর্জি জানাচ্ছেন মমতা, এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে ফের তার পুনরাবৃত্তি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, 'গুন্ডারা গুন্ডামি করলে হাতা খুন্তি, ঝাড়ু দিয়ে আদর করে দিতে হবে। আপনারা মা বোনেরা আন্দোলন করেছে, তা আমরা জানি। ভিনরাজ্যের পুলিশের উর্দি কিনছে। বিজেপি-র গুন্ডারা মোটরবাইক নিয়ে গুন্ডামি করছে। সে দিন সিপিএম-এর কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছিল নন্দীগ্রামে। আজকেও তাই করছে। পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে।'
advertisement
আশঙ্কার মধ্যেই আশাও ব্যক্ত করেছেন 'অগ্নিকন্যা'। আর সেখানেও তাঁর অস্ত্র সেই মহিলারাই। মমতার কথায়, 'সকাল সকাল সকলে ভোট দেবেন। ওরা গুন্ডা নিয়ে ভয় দেখাবে। কিন্তু মনে রাখবেন, যাঁরা ভয় পায়, তাঁরাই ভয় দেখায়। আমি দেখতে চাই, আমার মা বোনেদের শক্তি বেশি, নাকি বিহার-উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের শক্তি বেশি।' এখানেই শেষ নয়, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বিশেষ সতর্কবার্তা, '১ এপ্রিল তৃণমূলের এজেন্টরা সতর্ক থাকুন। অনেকে টাকা দেবেন, দিলে তা খরচ করে দিন। আর একটা কথা, সবাই মাস্ক পরে ভোট দিতে যাবেন। মাস্ক না পরে গেলে দিল্লির কিছু পুলিশ ভোট দিতে দিচ্ছে না। আর হ্যাঁ, ওরা মেশিন খারাপ করে দিচ্ছে। তখন ছায়ায় দাঁড়াবেন, অপেক্ষা করবেন, ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাবেন না। ভিভিপ্যাট মেশিনে খেয়াল রাখুন, কোথায় ভোট পড়ছে। গণনার দিন কারও থেকে কিছু খাবেন না। একমাস ইভিএম মেশনি পাহারা দিতে হবে।'
অধিকারী পরিবারকে এদিনও গদ্দার বলে আক্রমণ শানান তিনি। আক্ষেপের সুরে মমতা বলেন, 'আমারই দোষ। ওঁদের প্রশাসনিক ও মন্ত্রীর পদ দেওয়ার পরে অনেক টাকা হয়েছে। আর এখন টাকা করে কোথায় যাবে, তাই বিজেপিকে ধরেছে। এত টাকা রাখবে কোথায়? সে দিন সিপিএমের কর্মীরা পুলিশের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছিল নন্দীগ্রামে। আজকেও তাই করছে। পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে। কেউ টাকা দিচ্ছে দেখলে খবর দিন, আমি পুরস্কার দেব।'