মমতার সংযোজন, 'এবারের ভোট গদ্দারদের বিরুদ্ধে ভোট, মীরজাফরদের ছেড়ে কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে।' এবারের ভোট প্রচারে বাংলার মানুষকে বারবার সতর্ক করছেন মমতা। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। বলেন, 'বহিরাগত গুণ্ডাদের কিন্তু এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। ভোটের মেশিন খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন। কিন্তু ছেড়ে চলে যাবেন না। ভোট হয়ে যাওয়ার পরও পাহারা দিতে হবে সহকর্মীদের। ২০-৩০ জন করে ছেলে-মেয়ে নিয়মিত এলাকা পাহারা দেবে। যাতে কোনওভাবে ভোট মেশিন দখল করতে না পারে।'
advertisement
বিজেপি সোনার বাংলা গড়ার যে দাবি করছেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। দক্ষিণ কাঁথির সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, 'বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। কেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে। কয়েকজন কোটিপতি আপনাদের সব লুঠ করে নিয়ে চলে যাবে। বিজেপি ভোট চাইলে জিজ্ঞাসা করুন, রেল, কোল, এয়ার ইন্ডিয়া, কেন বিক্রি হচ্ছে?' এদিন পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়েও তোপ দেগেছেন মমতা। বলেন, 'পিএম কেয়ার্স, নোট বন্দির টাকা কোথায় গেল? বিজেপিকে জবাব দিতে বলুন। ভোট এলেই লোককে ৫০০-১০০০ টাকা করে দিচ্ছে। বিজেপি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না।'
প্রথম দফা ভোটের আগে শেষ রবিবাসরীয় ভোটপ্রচারে উত্তপ্ত বঙ্গ। প্রথম দফা ভোটের সপ্তাহখানেক আগে বক্সিং গ্রাউন্ড মেদিনীপুর। একুশের ভোটযুদ্ধে মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আরও কড়া হচ্ছে প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণ। নাম না করে একদা বিশ্বস্ত সহকর্মী থেকে এখন ভোটকেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হওয়া শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, 'গদ্দাররা হাত ধরে বিজেপিকে এনেছে। ২০১৪ থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ঘরে ঢুকে সিঁধ কেটেছে। এদের জমিদারি থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে। '