রাজনৈতিক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেও সাধারণত নাম নেন না মমতা। আজ অভিযোগ করতে গিয়ে শিশির অধিকারীর নাম নিয়েই ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই ভুল শুধরে নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করলেন। তারপর অভিযোগ করলেন। তাঁর কথায়, "কোনও একজনের বাবাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করলাম। বাবার শপথে ছেলে গেল না। বলল, বুড়ো ভামকে মন্ত্রী করা হয়েছে। আমি তো কোনও দিন এই ভাষায় কথাই বলতে পারব না।" বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়, মমতা বোঝাতে চাইলেন, শিশির অধিকারী প্রসঙ্গে এই মন্তব্য শুভেন্দুর।
advertisement
এখানেই শেষ নয়। রেওয়াপাড়ায় প্রথম বক্তব্যে যে অভিযোগ করে এসেছেন, তাঁর দ্বিতীয় ভাগটা শোনা গেল এই বিরুলিয়া বাজারে। মমতার কথায়, "যখন নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটল পুলিশ ঢুকল গদ্দাররা কি তা জানতেন না? অতবার তাদের বুদ্ধাবাবুর সাথে কথা হয়েছে!" এর পরেই ঘটল বেনজির কাণ্ড, যে নাম আজ বহু বছর মুখেও আননেনি, সেই নামটাই নিয়ে ফেললেন মমতা। তিনি এদিন বলেন, "যদি কেউ আমাকে বহিরাগত বলে নিজেদের ভূমিপুত্র বলে তবে জানুন, তাঁরা ১৫ দিন বাড়ি থেকে বেরোয়নি। আমার কথা বিশ্বাস না হলে যান গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন মুকুল রায়কে। মুকুল রায় সাক্ষী।"
শুভেন্দু-শিশিররা বারংবার বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে লড়তে এসেছেন শুভেন্দুর কেরিয়ার শেষ করতে। মমতার সাফ জবাব, "আমি ওকে হারাতে আসিনি। আমার পছন্দের আসন ভবানীপুর। তাও এখানে এসেছি। কারণ আপনারা আমায় চেয়েছেন।"
১৮ দিন পরে এসেছেন নন্দীগ্রামে। পায়ে চোট। মমতার ঝাঁজ বুঝিয়ে দিল, হারজিৎ যাই হোক, নন্দীগ্রাম আসনে খেলা হবে।