কানহাইয়ার কথায়, 'তৃণমল পুরনো বিষ নতুন বোতলে'। অর্থাৎ বিজেপিরই অন্য একটি রূপ বলতে চাইলেন ঘাসফুল শিবিরকে। কাকে ভোট দেওয়া হবে সেই প্রসঙ্গে কানাইয়ার উবাচ, ভোটাধিকার নিজস্ব অধিকার, কাকে দিতে হবে এটা চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ভোটদানের অধিকার গুপ্ত। কাকে দেবেন বলতে চাই না। রাজ্যের শাসক দল ও প্রধান বিরোধী শক্তি যখন ভোটের ফল নিয়ে নিঃসংশয় তখন কানহাইয়ার টিপ্পনী, "ফল জানা থাকলে এত খরচ করে ভোট করা কেন?"
advertisement
সিপিআই নেতা কানহাইয়া দলত্যাগ নিয়েও এদিন টিপ্পনী কাটেন। মুখ খোলেন সেই বামেদের প্রসঙ্গেও যারা বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, যারা এই লড়াই ছেড়ে পালাচ্ছ আমি তাঁদের হয়ে সাফাই গাইতে আসিনি। পাশাপাশি তৃণমূলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তাঁর শ্লেষ, আগে যাদের দিদির পাশে দেখতাম, তাদের এখন দেখি মোদির পাশে।
কানহাইয়ার কথাতেও এ দিন এল মনীষীদের প্রসঙ্গ। মেদিনীপুরে (পটাশপুর) দাঁড়িয়ে ক্ষুদিরাম বসু, বিদ্যাসাগরের ভূমিকার কথা স্মরণ করালেন কানহাইয়া ভোট চাইলেন উন্নয়নকে হাতিয়ার করে।
প্রসঙ্গত এদিন বামেদের ইশতেহার সামনে এসেছে। সেখানেও উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রেখেছে বামফ্রন্ট। এখন দেখার তরুণ তুর্কী কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।