প্রায় আড়াইশো বছর ছুঁই ছুঁই বছর মহিষাদল রথের। এক সময়ে এই কাঠের রথের চুড়া ছিলো ১৭, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চূড়ার সংখ্যা কমেছে। এখন ১৩ টি চূড়া মহিষাদল রথের। চাকার সংখ্যা ৩৪টি। রথের সেই ৩৪ টি কাঠের চাকাকেই পঞ্চ গব্য দিয়ে পুজো করা হয়। যাতে এঁটেল মাটিতে রথের চাকা আটকে না যায়, সেদিকে তাকিয়েই রথ টানার সময় এই স্নান যাত্রা চলে বলে ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন।
advertisement
যদিও এত ইতিহাস যে রথের খাঁজে খাঁজে, সেই রথ এবারও টানা হবে না। গত বছরের মতো এবারও পুজো-আচ্চা হবে, কিন্তু রথের রশিতে টান পড়বে না। করোনার কারনে এবারও রথ টানা হবে না। কিন্তু অন্যান্য আনুষাঙ্গিক উপাচার পালিত হবে।
যেমনটা গতবার হয়েছিল, তেমনটি হবে এবারও। রথে চড়ানো হবে জগন্নাথদেব ও গোপাল জীউর মূর্তিকে। পুজো শেষে রাজবাড়ির ডংকা চাপিয়ে দেবতাদের নিয়ে যাওয়া হবে মাসিবাড়ি গুন্ডিচাবাটিতে, হবে পুজো পাট। সাতদিন পর উল্টোরথের দিনেও একইরকম ভাবে পুজো হবে। রথে উঠবেন জগন্নাথদেব আর রাজবাড়ির কূলদেবতা গোপাল জীউ। সব কিছু হবে অনাড়ম্বর পরিবেশে এবং করোনা বিধি মেনেই।