ইয়াসের দাপট শেষ হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, শুক্রবার থেকেই রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। শুক্রবার হেলিকপ্টারে তিনি প্রথমে উত্তর চব্বিশ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ, তারপর তিনি যাবেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সাগরে৷ সবশেষে তিনি যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়৷ আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় এবং তার জেরে জলস্ফীতি হয়ে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সন্দেশখালি, সাগর এবং দিঘা- তিন জায়গাতেই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর৷ শনিবার কলকাতায় ফিরবেন তিনি৷
advertisement
জানা গিয়েছে, আকাশপথে ওড়িশার ভদ্রক, বালাসোর পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। এরপর ভুবনেশ্বরে রিভিউ মিটিং করবেন তিনি। যদিও মমতা এদিন জানিয়েছেন, কলাইকুণ্ডায় নরেন্দ্র মোদি তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে মোদির সঙ্গে তিনি ও মুখ্যসচিব বৈঠক করবেন। এরপর দিঘায় চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব।
অন্যদিকে, ইয়াস-এর জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার দিল্লি থেকে প্রথমে যাবেন ভুবনেশ্বর। সেখানে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে কপ্টারে বালেশ্বর এবং ভদ্রক পরিদর্শন করার কথা মোদির । এ রাজ্যে এসে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের ঝড়ে বিধ্বস্ত স্থানগুলিও পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর সফরের খবর পেয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষা করানো শুরু হয়েছে পুলিশের কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগেন। প্রচারে নরেন্দ্র মোদি আমফান দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে টার্গেটে করেন একাধিক জনসভায়। অন্যদিকে, কেন্দ্রের ত্রাণ বঞ্চনা নিয়ে জমি ছাড়তে রাজি হননি মমতাও। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে সঙ্গে নিয়ে আজ ইয়াস বিধ্বস্ত বাংলায় মুখমুখি হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কোলাইকুণ্ডার বৈঠকের দিকেই আজ নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।