আগামী ২২ মে শনিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আন্দামানের কাছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রথমে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অভিমুখ থাকলেও পরে অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের যা অভিমুখ, তাতে বাংলা-ওড়িশা উপকূল এলাকাতেই আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে বাংলার দিঘা-শঙ্করপুর উপকূল থেকে ওড়িশার বালাসোর উপকূলের মাঝে স্থলভাগে এটি প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
গুজরাতের চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় টাউটের পর যে ঘূর্ণিঝড় হবে তা আবহাওয়া দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ওমানের দেওয়া নাম "যশ"(yaas)। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি. তাতে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম যশ হতে চলেছে।
এই ঘূর্ণিঝড় কতটা তান্ডব লীলা চালাবে তা রবিবার নিম্নচাপ তৈরির পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এই সিস্টেমের প্রভাবে ভারতে বর্ষা যথাসময়ে চলে আসবে। দেশের মূল ভূখণ্ড কেরলে প্রথম বর্ষা আসে পয়লা জুন। প্রথমে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় টাউটে ও পরে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি সিস্টেম তৈরি হওয়ায় আবহাওয়াবিদদের অনুমান কেরলে দু-এক দিন আগেই বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৩১ মে-র মধ্যে কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।