বিপুল আসনে জয় প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। বিজেপির ধ্বস নেমেছে। মোদি শাহ ডাবল ইঞ্জিন বলেছিলেন। আমি বলেছিলাম ডাবল সেঞ্চুরি করব। আত্মবিশ্বাসী মমতার মত,"এই জয় আমাকে বড় করেছে।"
নন্দীগ্রামে অনেকটা পিছিয়ে শুরু করেও ১২ রাউন্ড গণনার শেষে ৪৬০০ ভোটে এগিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১১ রাউন্ড থেকেই একটু একটু করে ব্যবধান বাড়াচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। শুভেন্দু আবার টক্কর নেওয়া শুরু করেন, ক্রমেই বিষয়টা ধোঁয়াশায় পরিণত হয়। এই মুহূর্তে দুই পক্ষই পরস্পরের দাবিকে খণ্ডাচ্ছে।
advertisement
নন্দীগ্রাম বাদ দিলেও গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের ঝড় দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল বলছে, বাংলা নিজের মেয়েকে চায় এই স্লোগানকে প্রমাণ করা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে থাকা জেলা মালদহ, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া,মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তৃণমূলের প্রার্থীদের ফল অভাবনীয়।
২০২১ নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ছিল এবার পূর্ব-মেদিনীপুর, বলা হচ্ছিল শুভেন্দু অধিকারীর গড় এই এলাকা। তাঁকেই পোস্টার বয় বানিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের দিন বেলা গড়াতে দেখা যাচ্ছে ব্র্যান্ড মমতার সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বিজেপি। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। হেরেছেন ঐশী দীপ্সিতার মতো অতি তরুণ প্রার্থীরা। হেরেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যয়ারে মতো প্রবীণও। অন্য দিকে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো প্রার্থীরাও সকলে হারের পথে। ইতিমধ্যেই হেরে গিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। আর মমতা বলেছিলেন, এক পায়েই খেলা দেখাবেন। খেলা হল, তৃণমূলের সুনামি দেখল গোটা বাংলা। মমতা জিতুন বা হারুন, আপাতত সামনে শপথগ্রহণ।