এদিন সকাল থেকে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির অভিযোগ এলেও সবচেয়ে বেশি অনভিপ্রেত ঘটনার খোঁজ এসেছে বয়াল এলাকা থেকে। এদিন সকালেই নন্দীগ্রামের বয়ালের একটি বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। গোটা এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। ওই তৃণমূল এজেন্টকে বুথে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করেন তাঁরা।
advertisement
কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। পুলিশ থাকলেও আতঙ্কে ওই তৃণমূল কর্মীকে বুথে পাঠাতে অস্বীকার করেন তাঁর মা। এমনকী ওই তৃণমূল এজেন্টকে বুথে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু পরিবারের বাধা আর মায়ের কান্নার কাছে হার মানতে হয় তৃণমূল এজেন্টকে। পুলিশ তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়। কিন্তু তখন তাঁর মা প্রশ্ন তোলেন, 'এখন তো ভোট হচ্ছে, তাই নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু এরপর তো সবাই চলে যাবে, তখন আমাদের কী হবে! আমাদের তো এখানেই থাকতে হবে।'
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী সকাল থেকেই গোটা নন্দীগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত চষে ফেললেও এখনও পথে নামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেয়াপাড়ার ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকেই নন্দীগ্রামের কোথায় কী ঘটছে, সেই খবর তিনি দলের নেতা-কর্মীদের থেকে নিচ্ছেন। আগামীকাল উত্তরবঙ্গে কর্মসূচি রয়েছে মমতার। ঠিক ছিল, আজই কলকাতা ফিরে আগামীকাল উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কিন্তু পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আজ নন্দীগ্রামেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে, আজকের ভোট নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।