এদিন ভোট শুরু হতেই চণ্ডীপুরের বেশ কয়েকটি বুথ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ ছিল পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নিউজ১৮ বাংলাকে তৃণমূল প্রার্থী সোহম জানান, বুথ নম্বর ৪৯-এ বাঁশ লাঠিসোটা নিয়ে রীতিমতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। আমাদের কর্মী দেবব্রত বর্মনের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সোহমের অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকেই। ওই বুথটি ছাড়াও ৩৯, ৪০-এ প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সোহম।
advertisement
প্রসঙ্গত চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামের দিকে এগোলে প্রথমেই পড়ে রেয়াপাড়া শিবমন্দির। এখান থেকেই নন্দীগ্রাম-সহ অন্যান্য অঞ্চলের ভোটপরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বয়াল, গোকুলনগরে ১৩, ১৪, ১৮, ১৯, ২০ নং বুথে স্থানীয় মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। দিনের শুরুতে নন্দীগ্রামে বেশ কয়েকটি বুথে ঢুকতেও বাধা পান তৃণমূলের এজেন্টরা। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকেই। সোনাচূড়ায় বোমাবাজি ঘটনাও সামনে এসেছে।
সূত্রের খবর, কিছুক্ষণে রেওয়াপাড়ার বাড়ি থেকে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাইরে বেরোতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্তও শেষমুহূর্তে পাল্টেছেন। তিনি আজ থাকছেন নন্দীগ্রামেই। রাজনৈতিক মহলের মত, নন্দীগ্রামে তাঁর থেকে যাওয়াটা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের অক্সিজেন দেবে।