অপরদিকে, গোটা নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ভোটের দিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর দাপটের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নন্দীগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। যদিও শাসক শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও অবশ্য ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ভোটারদের অনুরোধ করব শান্তিতে ভোট দিন"। শুভেন্দুর কটাক্ষ, "কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিনতেন না। রাজনীতিতে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন রাজীব গান্ধির জন্য। পরে তিনি রাজীব গান্ধিকেও প্রতারণা করেছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল হারছে আর এটা স্পষ্ট। আমি মেদিনীপুরের মানুষের জন্য কাজ করেছি আর তাঁরা আমায় বহু বছর ধরে চেনেন। তারা সকলে আছে। নিঃসন্দেহে বিজেপি জিতছে।"
advertisement
অপরদিকে, নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরের ৫২ ও ৫৩ বুথে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে গণ্ডগোল বাধানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও সিআরপিএফ নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের। আবার নন্দীগ্রামের বিএমটি শিক্ষানিকেতন বুথেও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে, খোদামবাড়ির ১০৫ নম্বর বুথ এলাকায় বিমল সাহু নামে তৃণমূলের এক বুথ এজেন্টকে বাড়ি থেকেই বেরোতে দেয়নি বিজেপির দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের অভিযোগ বয়াল অঞ্চলেও ভোটারদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে বিজেপি। ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিন বাংলা ভোটের দ্বিতীয় দফায় বাংলাতে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, এখনও নন্দীগ্রামে থাকলেও ভোট নিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, আরও কিছু সময় দেখে তারপর ভোট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন মমতা। এমনকী ঘুরে দেখতে পারেন নন্দীগ্রামের ভোট পরিস্থিতি।