সমাজকর্মী ও পশুপ্রেমী মেনকা গান্ধির আবেদনে সাড়া দিয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন’ রাজ্যের স্কুলগুলির উপর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, স্কুলের সামনে যে সব পথ কুকুর আছে, তাদের মিড ডে মিল দিতে হবে। এর জন্যে দায়িত্বে থাকবেন শিক্ষকরা এবং মিড ডে মিল তৈরি করেন যাঁরা তাঁদের একাংশ। শুধু পথ কুকুরকে খাওয়ানো নয়, তাদের চিকিৎসা, ভ্যাকসিনেশন সহ অন্যান্য দায়িত্ব নিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা নিরাময়ে দৃষ্টান্ত গড়লেন এই স্বাস্থ্য আধিকারিক! ১০ জন টিবি রোগীকে নিলেন দত্তক
নদিয়ার পশু বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন, এই উদ্যোগ অত্যন্ত মানবিক কিন্তু উচ্ছিষ্ট নয় তাদের জন্য বরাদ্দ হোক খাবার, যা নির্দেশিকায় নেই। শুধু তাই নয় নিরামিষ তারা কখনওই খায় না, তাই তাদের জন্য মাংসের বিভিন্ন অংশ কিনে আলাদাভাবে হোক রান্না। অন্যদিকে মিড ডে মিলের কর্মীরা বিষয়টিকে ভালভাবে নিলেও যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় আছেন পথের সারমেয়দের স্কুলের গেটে হাজির করানোর জন্য যদিও এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও অনেকটা সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকেও স্কুলে পড়া বাচ্চাদের নৈতিক দিক থেকে মানসিকতা গড়ার আদর্শ বলে জানান হলেও ভ্যাকসিনেশন সম্পর্কে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে ভেটেনারি ডাক্তার কিংবা চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়ে। তারা জানাচ্ছেন ভ্যাকসিন তো আর শিক্ষক শিক্ষিকা দেবেন না! কিন্তু কারা দেবেন তা জানা নেই। অন্যদিকে স্কুলের সামনে স্বভাব সিদ্ধভাবেই সারমেয়দের খাওয়া নিয়ে গন্ডগোল কীভাবে মেটাবেন তা নিয়েও যথেষ্ট দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তারা। সুতরাং নেতিবাচক কথা যতই উঠে আসুক না কেন সরকারি এই উদ্যোগের ফলে এবার থেকে পথ কুকুররাও পাবে মিড ডে মিলের ভাগ সেই কারণেই খুশি পশুপ্রেমীরা।
Mainak Debnath