দিল্লিতে থাকা মৃতের ছেলে ফোনে বিষয়টি টের পেয়ে যোগাযোগ করেন স্থানীয়দের সঙ্গে। খবর পেয়ে দোকান খুলতেই দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছে শঙ্কর জানার নিথর দেহ। হাত-পা বাঁধা, মাথায় আঘাতের চিহ্ন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকেছিল পাঁচ দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে তিনজন ভিতরে ঢোকে, বাকিরা বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। কত পরিমাণ সোনা লুঠ হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকলেও পাশের বাড়ির ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।বরানগর থানার মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই এই খুনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
advertisement
তবে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত। এলাকায় আরও অনেক সোনার দোকান রয়েছে, ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের আগে পর্যন্ত দোকানের ক্যামেরা চালু ছিল। এরপরই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কী ভাবে, কারা এই খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বরানগর পৌরসভা উপ পৌর প্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণে স্বর্ণ-শিল্পী ব্যবসায়ীদের অবস্থা করুন। প্রতিটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী রাখা প্রয়োজন। বরানগরের ব্যস্ত এলাকায় এমন নৃশংস খুনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। গোটা ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
Rudra Narayan Roy