মেদিনীপুর বহন করে চলেছে নানা ইতিহাস। এককালে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার ইতিহাস বহন করে চলেছে ঐতিহ্যের মেদিনীপুর। ঋষি রাজনারায়ণ বসু পাঠাগার অর্থাৎ তৎকালীন বেইলি হলে, বিদ্যাসাগরের স্মৃতি রক্ষায় কিছু করবার পরিকল্পনা করেন বেশ কিছু সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষ। সালটা ১৯২৯। পরবর্তীতে ১৯৩৮-এর সেপ্টেম্বরে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্থাপন করেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় উপরাষ্ট্রপতি তথা আদর্শ শিক্ষক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। ঠিক তার এক বছরের মাথায় প্রেক্ষাগৃহ প্রস্তুতের পর বিশেষ ট্রেনে চেপে মেদিনীপুর শহরে আসেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৯ এর ১৬ ডিসেম্বর দ্বারোদ্ঘাটন হয় বিদ্যাসাগর হলের। মেদিনীপুরে এসে মেদিনীপুরের সংস্কৃতি চর্চার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মেদিনীপুরের সিংহশিশু বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করে সংস্কৃতি ভাবাপন্ন মানুষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : নদীর ঠান্ডা বাতাসে সেলফি, আড্ডা, প্রেম, খুনসুটি…শহরের মাঝে এক টুকরো খোলা বাতাস মন ফুরফুরে করে দেয়
এরপর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সংস্কৃতি চর্চা এবং নানা সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এই বিদ্যাসাগর হল। মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে রয়েছে এই হলটি। বহন করে চলেছে এককালের ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি। বর্ণপরিচয় স্রষ্টা বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করে নির্মিত এই হল এখন মেদিনীপুরের মানুষের কাছে আবেগ। শুধু তাই নয়, হলের ভেতরে দেওয়ালে আঁকা নানা সুদৃশ্য ছবি এক একটি ইতিহাস। যারও প্রশংসা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে পরম্পরায় বহমান রেখেছে শহর মেদিনীপুরবাসী। এখনও ইতিহাসের ধারাকে বয়ে চলেছে বিপ্লবের এই জেলা।