আরও পড়ুন ভাল খবর: মেরুদন্ডের শেষে পায়ুদ্বারের উপরে জমেছিল পুঁজ-রক্ত, জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য নবদ্বীপে
কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, শালবনীর অন্তর্গত গোয়ালডিহি গ্রাম। যে গ্রামে বসবাস আদিবাসী লোধা, শবর পারিবারের। পিছিয়ে পড়া এই জনজাতির ছেলে মেয়েরা স্কুল গেলেও করোনা পরিস্থিতির পর একে একে সকলেই স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং সংসার ও পরিবারের অভাব মেটাতে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে যায় এই গ্রামের ছেলে মেয়েরা। তাই জেলা প্রশাসনের ঘোষিত এই মডেল গ্রামকে সম্পূর্ণ স্বাক্ষর করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ।
advertisement
অধ্যক্ষ গোপাল বেরা জানান, এই গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করানো হবে। বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা মূলক প্রশিক্ষন, কর্মশালা করা হবে। এছাড়াও এই গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। শ্রী বেরা আরও বলেন, শালবনীর গোয়ালডিহি গ্রামের ছেলে মেয়েদের পূর্ণ স্বাক্ষর করে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
অন্যদিকে গোয়ালডিহি গ্রামের বাসিন্দা মৃণাল কোটাল বলেন, আমরা খুবই খুশি যে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজ এই গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। পিছিয়ে পড়া এই গ্রামের আদিবাসী, লোধা , শবর জনজাতির ছাত্রছাত্রীরা এরফলে অনেক খানি উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী তিনি।