গাড়ির চলাচলের গতিপথে সামনে কিছু থাকলে নির্দিষ্ট সাউন্ড দিয়ে জানিয়ে দেবে চালককে। শুধু তাই নয়, হঠাৎই সামনে কিছু এলে দাঁড়িয়ে যাবে গাড়ি। আবার সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প ফাঁকা রাস্তা দিয়ে নিজেই চলতে থাকবে। আলট্রাসনিক সাউন্ড সেন্সার, সামান্য মাইক্রোচিপ এবং কয়েকটি জিনিস দিয়ে বানিয়েছে এই বিশেষ ডিভাইস। যা আটকে দেবে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, অন্ধ ব্যক্তিদের ব্লাইন্ড স্টিকে লাগান যেতে পারে। বিশেষ ব্লুটুথ নির্ভর এই ডিভাইস বানিয়ে, প্লাই দিয়ে তৈরি বিশেষ গাড়িতে ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে সে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা প্রথম বর্ষের মেডিকেল ছাত্র তমাল কান্তি দাস।
advertisement
আরও পড়ুন: নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে যা করলেন বাবা-মা! গ্রেফতার গোটা পরিবার
২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর নিটের প্রস্তুতি নেয় সে। চলতি বছর ভর্তি হয় ডাক্তারি পড়াশোনায়। তবে ছোট থেকেই শখ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরির। অবসর সময়ে সেইমত ইউটিউব দেখে কোডিং শিখে এবং নিজের ইচ্ছে শক্তি ও ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে সামান্য কিছু জিনিস অর্ডার করে, খুব স্বল্প মূল্যে এই বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছে। নাম দিয়েছে রোবো কার। তবে কী এই প্রযুক্তি? কীভাবে কাজ করে? জানা যায়, গাড়ির সামনে এবং পিছনে থাকবে আল্ট্রাসনিক সাউন্ড সেন্সর। কোডিং করে লাগাতে হবে। এরপর সামনে কোনও বস্তু এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে পর্যবেক্ষণ করবে এই সেন্সারটি। এবং সামনে কোনও জিনিস থাকলে আটকে যাবে গাড়িটি। ব্লুটুথ নির্ভর বিশেষ এই ডিভাইস বানাতে তার খরচ সামান্য। এছাড়াও এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে অন্ধদের জন্য ব্যবহৃত লাঠিতে। যেখানে সামনে কোনও বস্তু থাকলে, বিশেষ সাউন্ডের মধ্য দিয়ে জানান দেবে।
আরও পড়ুন: আসছে ‘রঘু ডাকাত’! দেব ঝড়ে কাঁপছে পুরুলিয়া, ক্রমেই বাড়ছে পারদ! ভক্তদের উন্মাদনা শুরু
কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই, নিজের ভাবনায় বানিয়েছে এই বিশেষ অত্যাধুনিক ডিভাইস। যা আগামীতে বিভিন্ন বড় বড় গাড়িতে ব্যবহার করে দুর্ঘটনা এড়ান যাবে। শুধু তাই নয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান যাবে গাড়ি। ডাক্তারি পড়ুয়া হয়েও, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে তার এই দক্ষতা ও ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।