তবে ভক্তদের সেবা করতে মেলা চলাকালীন নিজেদের বাড়ির দুয়ার খুলে দেন স্থানীয় মানুষজন। দূরদূরান্ত থেকে আসা মতুয়া ভক্তদের বাড়ির নানা প্রান্তে বিশ্রামের ব্যবস্থা-সহ খাওয়া-দাওয়া-সেবা, সবই করে থাকেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দারা। নিজেদের সামর্থ্য মত পরিষেবাও দেন অতিথি ভক্তদের। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষজনও এই আতিথেয়তায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন। দীর্ঘ সময় ডঙ্কা বাজিয়ে মাতাম কড়ার পর চলে পুণ্যস্নান, এরপরই যেন শরীর ছেড়ে দেয়। দরকার পরে বিশ্রামের। পুরুষ, মহিলা সবারই প্রয়োজন হয় বাথরুমের। কাজেই, ঠাকুরনগরে আসা অতিথিদের সুবিদার্থে এই এলাকার প্রতিটি মানুষ নিজের গোটা বাড়ি ছেড়ে দেন অতিথিদের জন্য। দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা এই মেলায় স্থানীয় মানুষজনের আতিথিয়তার টানেই মুগ্ধ হন অগণিত মতুয়া ভক্ত। মেলার এই ক’দিন সকলেই হয়ে ওঠেন এক পরিবার।
advertisement
Rudra Narayan Roy