কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সিএএ কার্যকর করার ঘোষণা হতেই, গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ভিড় আই কার্ডের জন্য। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পরিচয়পত্রের কার্ড সংগ্রহ করার প্রবণতা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে বলছেন মতুয়া ভক্তদেরই একাংশ। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, মতুয়া কার্ড থাকলেই মিলবে নাগরিকত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আশ্বাসের পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ধর্মালম্বী মানুষজন ভিড় জমিয়েছেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে।
advertisement
অন্য সময়ে সারা বছরই মতুয়া ভক্তেরা ঠাকুরবাড়িতে এসে মহাসঙ্ঘের কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন। কিন্তু সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে থেকেই যেন এই কার্ড সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে মতুয়াদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালর পর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব মতুয়া উদ্বাস্তুরা ধর্মীয় নিপীড়িত হয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের অনেকেরই এখনও এ দেশের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড নেই। তাঁদের মধ্যে মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্ড সংগ্রহ করার বাড়তি তাগিদ লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিএএ লাগু হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত মনে করেই এই মতুয়া সংঘের কার্ড সংগ্রহ করছেন তারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, “অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পরিচয়পত্রের কার্ড থাকলেও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য নথিপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যাঁদের নথিপত্র নেই, তাঁরা সেলফ ডিক্লারেশন (নিজে থেকে ঘোষণা) দিয়ে জানাবেন, নাগরিকত্ব পেতে চাই। একটা আইনের রুল তৈরি হলে একটা প্রক্রিয়া থাকে। তার মানে এটা নয় যে নথিপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। আমি কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম।”
২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন৷ কিন্তু তার পর থেকে বিধি তৈরির কারণে পাঁচ বছর ধরে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি৷ যদিও গত বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে৷