মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, মৃতরা এ রাজ্যের বাসিন্দা নন,তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। তবু আমাদের রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে, গুরুতর আহত ছ জনকে এক লক্ষ টাকা করে ও বাকি আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন – Sad News: চার বছরের শিশু কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু, কেন এভাবে অকালে চলে গেল আরোহী, এলাকায় হাহাকার
advertisement
মন্ত্রীর অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন বারে বারে যোগাযোগ করলেও বিহার সরকারের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া মিলছে না। তিনি আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, অল্প আহতদের বাড়ি পাঠানোর জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা সব সময় বিহার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। চিকিৎসকরা রোগীদের সুস্হ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সাত সকালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত হয় ১১ জন পূর্ণার্থীর। আহত হয় ৩৬ জন। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের দিকে যাবার পথে একটি পুর্ণার্থী বোঝাই বেসরকারি বাস একটি দাঁড়িয়ে থাকা ১২ চাকা লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ফাগুপুরে।বাসযাত্রীরা সকলেই বিহারের মতিয়ার থানার চিরাইয়া সারসওয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা। গঙ্গাসাগরে স্নান সেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। বাসে ৫ জন শিশু সহ 45 জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই দশ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়।
Saradindu Ghosh