TRENDING:

Father Son death on Same day: করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ছেলে, করাল নিয়তি 'একই দিনে' কাড়ল বাবাকেও, চরম হাহাকার স্ত্রীর

Last Updated:

দু'বছর আগে একই দিনে মৃত্যু হয়েছে চেন্নাইয়ে কাজ করতে যাওয়া ছেলের, ছেলের মৃত্যুতে চাকরি পাওয়া বাবার মৃত্যু একই দিনে, জানুন কারণ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: নিয়তি যেন এক সুতোয় গাঁথা। ছেলের মৃত্যুর দিনেই মৃত্যু হল বাবার।দুবছর পর একই দিনে ঘটল অঘটন। এক দু বছর আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ছেলের। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার। তবে ছেলের মৃত্যুর দিন, দুবছর পর বাবার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। ছেলের মৃত্যুর দু’বছর পর একই দিনে গলায় সুপারি আটকে মৃত্যু হল হোম গার্ড বাবার। ঘটনাটি ঘটেছে বেলদা থানার অন্তর্গত সাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটপুর এলাকায়।
মৃত হোম গার্ড
মৃত হোম গার্ড
advertisement

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটপুর গ্রামের বছর ২৫ এর সঞ্জয় মাইতির। সরকারি ঘোষণা মতই ছেলের মৃত্যুর পর হোম গার্ডে চাকরি পেয়েছিলেন বাবা। তবে সোমবার সকালে ডিউটি যাবার আগে পান খাওয়ার সময় গলায় সুপারি আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাবার। মৃতের নাম দীপক মাইতি (৫৫)। বেলদা থানার অন্তর্গত জোড়া গেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিসকর্মী ছিলেন তিনি। একই দিনে বাবা ও ছেলের মৃত্যুর সমাপতনে শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে।

advertisement

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”

প্রসঙ্গত, দু বছর আগে ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বর সংলগ্ন বাহনাগা স্টেশনে ঘটেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনা। আর সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বেলদা থানার সাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটপুর গ্রামের বছর ২৫ এর যুবক সঞ্জয় মাইতি। চেন্নাইতে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তিনি। ট্রেন দুর্ঘটনা অকালে প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ওই যুবকের। আর সেই সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সঞ্জয়ের বাবা দীপক মাইতিকে দেওয়া হয়েছিল পুলিসের চাকরি। স্পেশাল হোম গার্ড হিসেবে বেলদা থানার অন্তর্গত জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে যোগ দিয়েছিলেন।

advertisement

View More

সোমবার অন্যান্য দিনের মত সকালে ডিউটিতে যোগ দিতে বেরিয়েছিলেন দীপক বাবু। বাড়ির সামনে একটি দোকানে পান কিনে খাচ্ছিলেন। হঠাৎই গলায় সুপারি আটকে গিয়ে তা শ্বাসনালীতে চলে যায়। ঘটনাস্থলে ছটফট করতে থাকেন তিনি। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি দীপক বাবুকে নিয়ে এগরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান পথিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ওই এলাকার বাসিন্দা সাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ সামন্ত বলেন, দু’বছর আগে আজকের দিনে দীপক মাইতির ছেলের মৃত্যু হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায়।

advertisement

আরও পড়ুনHamiltan Gunj Pollution: আবর্জনায় ভরাট নর্দমা, দূষণের আতুর ঘরে পরিণত এলাকা, মশা-মাছির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুলিসে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। সেই একই দিনে হঠাৎ করে দীপক বাবুর মৃত্যু আমাদেরকে ব্যথিত করেছে। বাবা ছেলের একই দিনে মৃত্যুর এই সমাপতন খুবই বেদনাদায়ক। পরিবারকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। দীপক বাবুর পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছেন। জেলা পুলিস এর এক আধিকারিক বলেন, ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। জেলা পুলিস পরিবারের পাশে রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

 রঞ্জন চন্দ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Father Son death on Same day: করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ছেলে, করাল নিয়তি 'একই দিনে' কাড়ল বাবাকেও, চরম হাহাকার স্ত্রীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল