ম্যারাথনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। এদিনের ম্যারাথনে সাড়ে চার বছরের শিশু থেকে আটান্ন বছর বয়স অবধি প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন।
মাত্র ষোলো মিনিটে বর্ধমানের প্রবেশ পথ উল্লাস মোড় থেকে ফিনিশিং পয়েন্ট বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে পৌঁছন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা অর্জুন টুডু। এই প্রথম বর্ধমানে ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- দিঘা জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন এগিয়ে এল! জানুন কবে থেকে দেওয়া যাবে পুজো
advertisement
শনিবার সকালে ম্যারাথনের আয়োজকদের পক্ষে রাজেশ সুরানা জানান, বর্ধমানে খেলাধুলার চর্চাকে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ। মোট ৩৩০ জন এই দৌড়ে অংশ নিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিহার,ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রতিযোগীরা এসেছেন।
এর আগে আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, বর্ধমানকে সবুজ করার লক্ষ্যে এই প্রথম শহরে ৫ কিলোমিটারের ম্যারাথন দৌড় করা হচ্ছে। বর্ধমানের ক্রীড়াবিদরা বলছেন, বর্ধমান শহরে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন দৌড়। বর্ধমানের উল্লাস থেকে এই ম্যারাথন শুরু হয়ে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল মাঠে শেষ হয়। রান ফর গ্রিনার বর্ধমান এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাঁচ কিলোমিটারের এই দৌড় অনুষ্ঠিত হল। তার সাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে।
ম্যারাথন সম্পূর্ণ করা প্রত্যেককেই মেডেল দেওয়া হয়। এছাড়াও সফল প্রতিযোগীদের জন্য ছিল নগদ পুরস্কার। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। ম্যারাথন চলাকালীন বর্ধমান শহরের জি টি রোডের একাংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ম্যারাথনে জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।