ভাঙনের জেরে গঙ্গা গর্ভে অসংখ্য দোকানপাট এবং শ্মশানের একাংশ। রাত দুটোর পর মানিকচক ঘাট এলাকায় শুরু হয় গঙ্গা নদীর ভাঙন। রাতের অন্ধকার থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অধিকাংশ জিনিসপত্র সরানোর সুযোগ পাননি। ভাঙনের খবরে রাতেই এলাকায় পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘ও জিতবে না, আমি জিতব’, স্মিথকে আউট করার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি! হুঙ্কার অশ্বিনের
advertisement
নদীর গর্জন শুনে হাজির হন আতঙ্কিত মানুষ। আচমকা ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।অসময়ের ভাঙনে আতঙ্ক, উদ্বেগ মালদহের মানিকচকে। মুহূর্তের ভাঙনে গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে অন্তত ১০-১২ টি দোকান। কয়েকশো মিটার জমি। ভাঙনের মুখে আরও অন্তত ৫০ টিরও বেশি দোকান ও অস্থায়ী নির্মাণ।
নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে গঙ্গা নদীতে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি তাঁরা। সাধারণভাবে বছরের এই সময় ভাঙন দেখা যায় না। এরপরেও গভীর রাত থেকে হঠাৎ শুরু হয় বিধ্বংসী ভাঙন। সকালে নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদীর ভাঙনের বীভৎসতা ধরা পড়েছে।
ইতিমধ্যেই নদীপাড়ে পৌঁছে ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, সেচ দপ্তরের দল এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকেরা।দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন রোধের কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। মাঝেমধ্যে সংস্কার কাজ হলে এমন ভয়াবহ ভাঙন হতো না বলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
হঠাৎ ভাঙনে উদ্বিগ্ন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
হঠাৎ করে মাটির নিচে আলগা হয়ে ধ্বস নেমেছে মানিকচকে, বললেন সাবিনা ইয়াসমিন। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারদের দলকে এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ মন্ত্রীর।যদিও মানিকচকে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় শাসকদল ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম।
আরও পড়ুন- প্রথম টেস্টেই এন্ট্রি নিচ্ছেন তরুণ অলরাউন্ডার! শক্তি বাড়ছে টিম ইন্ডিয়ার
রাজ্য সরকার সময়মতো ভাঙন রুখতে ব্যবস্থা না নেওয়াতেই সাধারণ মানুষের সর্বনাশ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডল। অবিলম্বে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছেন সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা।