কংসাবতী সাউথ ডিভিশন পুরুলিয়ার ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, জঙ্গল-সংলগ্ন কিছু মানুষের অসচেতনতার কারণেই পুরুলিয়ার পাহাড়-জঙ্গল জ্বলছে। ফি-বছর এই সময় পাতা ঝরে যায় গাছের। তীব্র গরম সঙ্গে শুকনো পাতায় একটু ভুলেই আগুন লেগে যায় জঙ্গলে। এমনকি নিজেদের স্বার্থেও লাগানো হয় আগুন জঙ্গলে। আর এই আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় বনদফতরকে। আর সেই কারণেই এক দিকে আগুন নেভানো অন্য দিকে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামের মানুষকে সচেতন করে চলেছে বনদফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: বাইপাসের ধারে অস্থায়ী পার্টি অফিস হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের
জঙ্গলে আগুন লাগার কারণ হিসাবে একদিক বিষয়ে চিহ্নিত করেছে বন দফতর। প্রথমত বলা হয়েছে, মহুল ফুল সংগ্রহ করতে গাছের তলায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাতে গাছের তলা থেকে সহজে চিহ্নিত করে খুঁজে বার করা যায় মহুল ফুল। এই পুড়িয়ে দেওয়ার পরেই আগুন লেগে যেতে পারে। এই ঘটনা কমাতে হবে। এ ছাড়া, অনেকেই এই সময়ে জঙ্গলের বিভিন্ন অংশ গরু-ছাগল চড়াতে নিয়ে যান। সেই সময় তাঁরা ধূমপান করে না পোড়া অংশ জঙ্গলে ফেলে দেন। সেই থেকেও অনেক সময় আগুন লেগে যায়।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের মাঝেই প্রবল বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা! কী ঘটল?
বনদফতরের নজরে রয়েছে অসাধু কাঠ-কয়লা ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপও। অনেক সময়েই দেখা যায়, কাঠকয়লা ব্যবসায়ীরা অসাধু উপায়ে কয়লা সংগ্রহ করার জন্য জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেন। সেগুলি নিয়েও চিন্তা রয়েছে। বন দফতর মনে করছে, জঙ্গলে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁদের মধ্যে সচেতনতার অভাবেই বার বার করে আগুন লেগে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। আর বারবার সেই আগুন নেভাতে হচ্ছে বন দফতরকে। ইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি বিশেষ দল গঠন করেছে দফতর। এই দলের কাছে রয়েছে ফায়ার ব্লোয়ার, যা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল