কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হত। আর এই ঘটনার পরেই মেডিক্যাল কলেজের কর্মবন্ধুদের প্রতিবাদের পাশে দাঁড়াবার আশ্বাস দিল রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস ও তৃণমূল, দুই পক্ষেরই নেতৃত্বরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি চেয়ে সরব হন।
আরও পড়ুন- পৌষ সংক্রান্তিতে ওঁদের বাড়িতে আসেন টুসু, আনন্দে মেতে ওঠে জঙ্গলমহল
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে এজেন্সির মাধ্যমে প্রায় ৩৭৭জন কর্মবন্ধু কাজ করে। মূলত এজেন্সির মাধ্যমেই নিয়োগ করা হয় তাঁদের। হাসপাতালের বিভিন্ন কাজকর্ম, রোগীদের সহায়তা, হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, মূলত এই সমস্ত কাজই করে থাকে কর্মবন্ধু কর্মীরা।
advertisement
দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কিছু মহিলা কর্মবন্ধু অভিযোগ করেন, তাঁদের কুপ্রস্তাব দিত এজেন্সির সুপারভাইজাররা। কর্মবন্ধু আল্পনা খাতুন বলেন, সুপার ভাইজারকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজ পেয়েছিলাম। কিন্তু তার পরেও আমাকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। এর পর আমাকে বারবার কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আবারও টাকার দাবি করে সুপার ভাইজার। আমরা এরই প্রতিবাদে অনশনে বসেছিলাম।
কর্মবন্ধু কর্মী সুকন্যা সাহা বলেন, টেন্ডারের পরে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর কাজ বহাল রাখতে কুপ্রস্তাব দেওয়া হত। পুরুষ কর্মীদের বেতন থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে সব তথ্য উঠে আসবে।
আরও পড়ুন- রাস্তায় পুলিশ, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের 'এই শহরে' চলছে মিনি লকডাউন
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এইভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া আমরা মেনে নেব না। কাজ কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। আমি দাবি জানাচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় এই ঘটনার তদন্ত হোক। সেইসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেই দাবিও জানাচ্ছি। আমরা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
টাউন তৃণমূল সভাপতি নাড়ু গোপাল মুখার্জী বলেন, প্রশাসন পুরো বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে। কর্মবন্ধুদের সাথে কথা বলে, তাঁদের সমস্যা জেনে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা ওই কর্মীদের পাশে রয়েছি।
মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভি পি ডাঃ অমিও কুমার বেরা বলেছেন, হাসপাতালের যে কোনো কর্মীকেই কাজ থেকে বরখাস্ত করা যাবে না। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনো কর্মীকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা যাবে না। মহিলা কর্মীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে সরাসরি কোনো অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।