আমাকে সেই দায় দায়িত্ব অর্পন করেছেন বলাগড়ের মানুষ । আমি বলাগড়ে কোনও নেতাগিরি করতে আসিনি । তেমন কোনও বাসনা নেই আমার । আমি চাই ওই মানুষের ভাই সাথী সমব্যথী- নির্ভরতার কেন্দ্র হয়ে উঠতে । আগামী দিনে সেই প্রচেষ্টাই চলবে। এই সব মানুষ – যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিধানসভার নির্বাচনটা করেছেন । আজ ভাবতে গেলে বুক কেঁপে যায়- তৃণমূল দল পরাজিত হলে যাদের অনেককে আর আমরা জীবিত দেখতে পেতাম না । কত যুবক লাশ হয়ে যেত, কত গৃহ ভস্মীভূত , লুন্ঠিত হতো , কত মা বোন সম্মান হারাতো- । এই সব মানুষ- আমার কাছে অতি আপন অতি প্রিয়। বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক বোঝাপড়া বাকি আছে । ওরা আমাদের চেনা শত্রু তাই তেমন ভয়ের কিছু নয় । কিন্ত যারা আমাদের দলের মধ্যে লুকিয়ে থেকে- স্বার্থ , অর্থ, উৎকোচের বিনিময়ে বিজেপিকে গোপন সহায়তা দিয়েছে- যারা বিজেপিতে যাবার জন্য পা বাড়িয়ে বসেছিল, নানা কারণে বিজেপি তাদের নেয়নি- তাঁরা কে কাকে ফোন করে বিজেপির বোতাম টিপতে বলেছে, সব সমাচার ধীরে ধীরে আমাদের গোচরে আসছে। এদের সঙ্গে কোনও আপস নয়, লড়াই হবে।
advertisement
এদের আমরা শনাক্ত করে ফেলেছি । এদের নিয়ে একসঙ্গে পথ চলা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। ৭৫ হাজার সেনা ছিল সিরাজদৌল্লার, তবু তাঁকে হারতে হয়েছিল তিন হাজার ইংরেজ সেনার কাছে- কয়েকটা বেইমান বিশ্বাস ঘাতক ছিল বলে -। আগামী দিনে বেইমান মুক্ত- নিবেদিন প্রান কর্মী দল গড়ার লড়াই চলবে। সৎ সাহসী জনগনের প্রতি নিবেদিত প্রান কর্মী দল আমার সঙ্গে আছে আমি তাদের সঙ্গে আছি। এদের নিয়ে দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষে আমার লড়াই চলছে চলবে। আমি বিশ্বাস করি আর কেউ সঙ্গে না থাকুক দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আমি পাব।তিনি আমার লড়াইকে সমর্থন দেবেন।” যদিও তাঁর এই মন্তব্য সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।