জনসংযোগ বাড়াতে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী করে দলের পুরনো কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই মতো রবিবার শিবপুর বিধানসভা এলাকার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়৷ যদিও সেই সভায় অরূপ রায়ের মতো জেলার সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে দেখা যায়নি৷
কৌতূহলের নিরসন করে মনোজ নিজেই বলেন, 'নির্বাচনের সময় থাকতেন এমন চার পাঁচ জনকে হয়তো দেখতে পাচ্ছেন না৷ কিন্তু তাঁদেরকে না ডাকারও কারণ আছে৷ তাঁরা নিজেরাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছিল৷ আপনারা আমাকে এখানে বিধায়ক নির্বাচিত করেছেন৷ তাঁদের উচিত ছিল আমাকে জানিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া৷ আপনারা বুকে হাত দিয়ে বলুন এটা কি মেনে নেবো?' মনোজ অভিযোগ করেন, তাঁর সম্পর্কে এলাকার তৃণমূল কর্মী এবং সাধারণ মানুষকেও ভুল বোঝাতে পারেন ওই নেতারা৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'বন্ধুর' চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে..., CBI হাজিরায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা চাইলেন 'সময়'
বাংলা দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মনোজ আরও বলেন, 'আমি দু' জনকেই চিনি৷ প্রথম জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যিনি এত কষ্ট করে দলটাকে দাঁড় করিয়েছেন৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি কিন্তু নতুন পুরনো সবাইকে নিয়ে চলতে চাইছেন৷ যাঁরা দলের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে, তাদেরকে উনি বাদ দিতে চাইছেন৷'
এর আগে বাংলা দলে মনোজের প্রাক্তন সতীর্থ এবং বর্তমান কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লও হাওড়া জেলা থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও তৃণমূল ছেড়েছিলেন৷ লক্ষ্মী অবশ্য রাজনৈতিক ইনিংসে ইতি টেনে খেলার মাঠেই ফিরে আসেন৷ লক্ষ্মীর দল ছাড়ার জন্য তৃণমূলের জেলা নেতাদের একাংশের দিকেই আঙুল উঠেছিল৷
মনোজ তিওয়ারির এই বক্তব্য সম্পর্কে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের প্রতক্রিয়া অবশ্য মেলেনি৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তিনি৷ অরূপবাবুর ফোনও বন্ধ রয়েছে৷