আরও পড়ুনঃ পুলিশ কর্মীর ছেলে যা করলেন, শেষমেশ গ্রেফতার! ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা
সুনিতাদেবী মণিপুরের ইম্ফলের বাসিন্দা৷ থাকেন শান্তিনিকেতনে। জন্মভূমির পরিস্থিতির কথা শুনে প্রতিনিয়ত তিনি পরিজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন৷ বন্ধু-বান্ধব, ছাত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন৷ তিনি বলেন, “খুব চিন্তায় আছি। প্রতি মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে। কালকে পর্যন্ত ফায়ারিং চলছিল৷ পুলিশের কাছে থ্রি নট থ্রি বন্দুক আর কুকিদের কাছে এ কে ৪৭, মেশিনগান, বোমা। তাই পুলিশ কিছুই করতে পারছে না৷ কুকি ছাড়াও আমাদের দেশে ২০ টির বেশি আদিবাসী গ্রুপ আছে৷ তাঁদের নেতাদের ধরে ধরে হয় দলে নিচ্ছে, না হয় সরে যেতে বলছে।”
advertisement
তিনি আরও বলেন, “গ্রাম থেকে শহরে সবজি আসে৷ সে সব আসতে পারছে না৷ কেউ ঠিকমত খেতে পাচ্ছে না। আমার পরিবার ঠিক আছে। তবে বাকি জায়গা ঠিক নেই। পাড়ার ক্লাবগুলো থেকে খেতে দেওয়া হচ্ছে ক্যাম্পগুলো। তবে আমি সবার কাছে শুনতে পাচ্ছি ওরা আসল কুকি নয়৷ কারন ওরা মণিপুরী ভাষা বলতে পারছে না৷ কুকিরা বলতে পারে৷ বার্মা থেকে ঢুকে পড়ছে অনেকেই। কতজন মারা গিয়েছে কিছুই জানতে পারছি না৷ খুব দুঃখে ও চিন্তায় আছি।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের শান্তিবার্তার পরেও উত্তপ্ত মণিপুর রাজ্য। খাদ্য সংকট, কারফিউ, এলোপাতাড়ি গুলি, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলে দফায় দফায় গুলির লড়াই এখনও অব্যাহত।
Subhadip Pal