মালদহের পর বেশি আম চাষ হয় এ রাজ্যের হুগলিতে। ব্যান্ডেল, সুগন্ধা, চুঁচুড়া, গোটু সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আমের বাগান রয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরে আমের ফলন খুব একটা ভাল হয়নি। প্রতিবছর বাগান মালিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আম চাষ করেন চাষিরা। ল্যাংড়া, হিমসাগর, বোম্বাই সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম খেতে সুস্বাদু। আর সে কারণেই প্রতিবছর বিহার, উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাই, দিল্লি সহ অন্যান্য রাজ্যে হুগলি থেকে পাড়ি দেয় এ রাজ্যের আম। কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পান হুগলির চাষিরা। তবে এই বছর আমের ফলন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য রাজ্যে তেমন একটা রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। আমের মুকুল আসার সময় বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তীব্র গরমে অসময়ে ঝরে পড়েছে আমের মুকুল। তার উপর বেড়েছে ওষুধ ও শ্রমিকের খরচ। অধিকাংশ চাষি যারা বাগান লিজ নিয়ে চাষ করেছেন, তাঁরা এই বছর আম চাষে লাভের মুখ দেখতে পাবে না বলেই মনে করছেন চাষিরা। সামনেই রয়েছে জামাইষষ্ঠী। তার আগে জামাইদের পাতে আম দিয়ে আপ্যায়ন করাটাই শাশুড়িদের কাছে অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি আধিকারিকের হাত ধরে কৃষিতে বিপ্লব, চাষের খরচ ও খাটনি এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে
ব্যবসায়ী তাপস পাল জানান, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়ার জন্য এ বছরে ফলন অনেক কম। যারা বাগান নিয়ে চাষ করেছে তাঁদের অনেকের গাছে ফলন হয়নি। গাছপাকা হিমসাগর পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০- ৮৫ টাকা। গটু বাজারে অন্যান্য বছর ১০০ টা গাড়ি লোড করা হয়, কিন্তু এ বছর ৮ থেকে ১০ টা করে গাড়ি লোড করা হচ্ছে। এ বছর ৮ থেকে ১০ টন করে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় যা মাত্র দশ শতাংশের আশেপাশে।
রাহী হালদার