বহরমপুরের রানিবাগানের ঘটনা । মৃতদের নাম কার্তিক চক্রবর্তী ( ৫২) এবং ছেলে কর্ণ চক্রবর্তী (৮)। ছেলে জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
আরও পড়ুন- পুরুলিয়ায় জাতীয় লোক আদালতের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি! উপকৃত হবেন বহু মানুষ
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, ঘটনার তদন্ত করছে বহরমপুর থানার পুলিশ। পেশায় ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তী স্বামী স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল সংসার । শনিবার রাতে দোকান থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয় বলে অভিযোগ।
কর্ণ ছোটো থেকেই যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন, সে বেশিরভাগ সময়টাই বাবার কাছেই থাকত। বাড়ির সামনেই রয়েছে কাঁঠাল গাছ। বাইরে থেকে গ্রীলে তালা বন্ধ করে বাইরের কাঁঠাল গাছের মধ্যে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন তাঁর স্ত্রী। এর পর চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে শুরু করে।
প্রতিবেশীরা ছুটে এসে সঙ্গে সঙ্গে দড়ি কেটে তাদের দুজনকে নীচে নামায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। স্ত্রী রুমা চক্রবর্তী বলেন, রাত করে বাড়ি ফেরায় সামান্য অশান্তি হয়েছিল। ছেলেটা বাবার জন্য কান্নাকাটি করছিল। তা নিয়ে একটু বকাবকি করেছিলাম। আমি ঘুমিয়ে পড়ি তারপর দেখি বাইরে থেকে তালা বন্ধ, বিছানাতে ছেলে ও স্বামী নেই। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ডাকি প্রতিবেশীদের। এইভাবে আমার জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে তা ভাবতে পারিনি।
আরও পড়ুন- মোকার তাণ্ডবে উত্তাল সমুদ্র! স্নান করতে নেমেছিলেন, তারপর যা ঘটল…! দিঘায় আতঙ্ক
প্রতিবেশী গৌতম মন্ডল বলেন, আমরা চিৎকার শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি একটি দড়িতে বাবা ও ছেলে ঝুলে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দুজনকে নামানো হয়। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
