মাঝে পেরিয়ে গেছে ১১ টা বছর। দীর্ঘ সময়ে পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজ করেও কোনও সন্ধান পায়নি। হঠাৎ করেই গতকাল সন্ধ্যা বেলা বাড়িতে খবর যায়। যেন আকাশ থেকে পড়লেন মা সহ পরিবারের সবাই। ১৪ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়েছিল ছেলে৷ আজ সে ২৫ বছরের যুবক৷
আরও পড়ুন: বেনারস থেকে বাংলাদেশ! বর্ধমানের কাছে গাড়ি থামাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ, কী মিলল?
advertisement
এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বত্রিশবিঘা দক্ষিণপাড়া এলাকায়। ১১ বছর পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি বাড়ির সবাই। জানা গিয়েছে, পরিবারের অভাবের জেরে ১৪ বছরের নন্দ মুর্মুকে এলাকারই পরিচিত একজনের সাথে সোনার কাজ শেখার জন্য বাড়ির লোক পঞ্জাবে পাঠিয়েছিলেন। কাজের সন্ধানে নাবালক ছেলে চলে গিয়েছিল ভিন রাজ্যে৷ তারপর সেখান থেকেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় সে।
যতন্নতন্ন করে খোঁজ চালিয়েও আর নন্দর কোনও হদিশ পায়নি পরিবার। আত্মীয়স্বজন সহ সকলকে জানালেও কেউ সন্ধান দিতে পারেনি। জামালপুর বাজার সহ নানা জায়গায় পরিবার সদস্যরা নন্দর খোঁজ করেন। সম্প্রতি জামালপুরের কাঠুরিয়া পাড়া এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক এসে হাজির হয়। সেখানেই ভিক্ষাবৃত্তি করে খাওয়া দাওয়াও করছিল সে। গতকাল জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি হোটেলে খাবার খেতে আসে ওই যুবক। সেখানেই যুবককে দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় হোটেলে থাকা কয়েকজনের। এরপর খবর যায় জামালপুর থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ কাঠুরিয়াপাড়া থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়ে যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। মা সহ পরিবারের লোকজন আসেন।
১১ বছর পর চেহারার অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মানসিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ ওই যুবক। তা সত্ত্বেও শরীরের বিভিন্ন জায়গার চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন নন্দকে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে পুলিশ পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেয় যুবককে। আত্মীয় পরিজনদের ডেকে বাড়িতে মিলন উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন নন্দর দাদা। নন্দর চিকিৎসাও করাতে চান তাঁরা৷