রাতে হাওড়ার উলুবেড়িয়া বড় আমশার বাসিন্দা সুবীর চক্রবর্তী কারখানায় কাজ করে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় লক্ষ্য করেন রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটি বড় সাইজের তিলকাছিম। তখনই গাড়ি থেকে নেমে কচ্ছপটিকে ধরার চেষ্টা করেন। সেই মুহূর্তে আরও বেশ কয়েকজন কাছিমটিকে ধরার চেষ্টা করে, তবে সুবীর বাবু চেষ্টায় সফল হয়। এরপর স্থানীয় কয়েকজন দাম দিয়ে কিনতে চায়লেও কাছিমটি তাদের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি। তিনি কাছিমটি বাড়িতে নিয়ে এসেন। পরিবেশ কর্মী দেবাশীষ সাঁতরার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার হাতে তুলে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝড়ের আগে আসে ‘কান্তি’, বর্ষার দুর্ভোগ বাড়লেই আসে ‘ফরিদ’! জানুন কে এই লড়াকু
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই সমস্ত প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দিক গুরুত্ব রেখে বন কর্মীদের পাশাপাশি জেলায় পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে চলেছে পরিবেশ কর্মীরা। সেইমত বছরে ৩৬৫ দিন পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে সচেতন বার্তা ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করে চলেছেন পরিবেশ কর্মী দেবাশীষ সাঁতরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে দেবাশীষ সাঁতরা জানান, বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে একটি নিরাপদ জলাশয়ে কাছিমটি ছেড়ে দেওয়া হয়। কাছিমটি উদ্ধার করে একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন সুবীর চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে সমস্ত মানুষের এমন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।
রাকেশ মাইতি