এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিদ্যুৎ দফতরের মোবাইল ভ্যানের কর্মী। বিভিন্ন সময় আমাদের জনবহুল এলাকায় হাইটেনশন লাইনের নিচে বা পাশে যে সমস্ত গাছ থাকে তাদের ডাল ছাঁটতে হয়। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয়েছিল আমরা গাছ ছাঁটছি বেশি লাগাচ্ছি কম। সেই থেকেই বটগাছ রেসকিউ করে রোপন করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।”মুন্সী বাবু যখন বাড়ি থেকে অফিসে যান তখন মোটরসাইকেলের মধ্যেই ঝোলানো থাকে বোতল ভর্তি জল। অফিস যাওয়ার পথে তার বসানো বিভিন্ন গাছে তিনি জল দেন। একইরকম ভাবে আবার বাড়ি ফেরার পথেও তিনি একই কাজ করেন। গাছের পরিচর্যা করা মুন্সী বাবুর নেশায় পরিণত হয়েছে। তবে সমাজে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা গাছ ভালোবাসেন এবং প্রতিনিয়ত গাছ রোপণ করে চলেছেন। তবে মুন্সী বাবুর গাছ রোপণের পদ্ধতি একেবারে ভিন্ন। তিনি গাছের চারা কেনেন না।
advertisement
পুরানো বাড়ির দেওয়াল অথবা যেকোনও পরিত্যক্ত জায়গায় গজিয়ে ওঠা বটের চারা তিনি সংগ্রহ করেন এবং তারপর সেই চারা বড় করে তিনি নির্দিষ্ট জায়গায় রোপণ করেন। মুন্সী বাবুর এই বটগাছের প্রতি ভালোবাসা দেখে এখন বর্ধমান শহরের অনেকেই তাকে ডাকেন বটমুন্সী নামে। বর্ধমান শহরের এক স্থায়ী বাসিন্দা পিন্টু পাসওয়ান বলেন, “আমার দোকানের সামনেও মুন্সিদা একটা বটগাছ রোপন করেছেন সেটা এখন অনেক বড় হয়েছে। আমি ওটার দেখাশোনা করি। দাদার এই উদ্যোগ সত্যিই খুবই ভালো একটা উদ্যোগ।”
আগামী দিনে আরও প্রচুর বটগাছ রোপণ করার চিন্তাভাবনা রয়েছে মুন্সী বাবুর। এখনও তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকেই তাকে পাগল বলেন। তবে কাউকে গুরুত্ব না দিয়ে সমাজের জন্য নিজের কাজ করে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের সুফি আলম মুন্সী। সত্যিই মুন্সী বাবুর এহেন কর্মকাণ্ড প্রশংসনীয়।