পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড় থানার জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম মোল্লা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সাদ্দাম মোল্লা নিখোঁজ ছিল। তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে। যদিও তাঁর পরিবার এ বিষয়ে ভাঙড় থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেনি। তাঁর পরিবারের আশা ছিল ছেলে দু-চার দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবে। এই ঘটনার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভাঙড় থানার পাগলাহাটের কাছে ঘটকপুকুর কাটাখাল থেকে ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এক সদস্য ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁদের এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় কোন যুবককে খুন করে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এক কামড়েই সব শেষ! মৃত্যু চার বছরের শিশুকন্যার, ঘরের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বিষাক্ত ঘাতক
পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এদিকে এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই মৃত অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন ছেলের পোশাক দেখে তাঁকে শনাক্ত করে। পরে তাঁরা ভাঙড় থানায় যোগাযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই যুবক রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে বাড়ি ফেরার পর কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বের হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দিল্লির ইডি দফতরে সুকন্যা, সায়গলের সামনে বসিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক কাঁকুড়গাছি এলাকার এক তরুণীকে ভালবাসত। সেই তরুণীর সঙ্গে আবার মৃতের এক বন্ধু মীর শফিক ওরফে হাসা আলীর বন্ধুত্ব ছিল। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে প্রেম করছে বন্ধু, এটা জানতে পেরে হাসা আলী গুলি করে খুন করে সাদ্দাম মোল্লাকে। পুলিশ মোবাইল সূত্র ধরে আলীকে গ্রেফতার করলে সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করে। গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ বারুইপুর মহাকুম আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বন্দুক উদ্ধার করার চেষ্টা করবে পুলিশ।