শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার তড়িঘড়ি ঝুঁকির অস্ত্রোপচার করে যুবকের দেহের ভিতর থেকে বের করেন এক ফুটের লম্বা টর্চ লাইট। অপারেশন থিয়েটারে থাকা চিকিৎসক থেকে নার্স-সহ স্বাস্থকর্মী সকলেই হতবাক। শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার বলেন, 'দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে এই রকম ঘটনা কখনও দেখিনি। প্রায় আধঘন্টা ধরে বিরল অস্ত্রোপচারের পর যুবক সম্পূর্ণ সুস্থ।'
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ ৫০ আসনের নীচে নেমে যাবে বিজেপি! একমাত্র উপায় বাতলে দিলেন নীতীশ কুমার
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন যুবক। ওই যুবক জানান, তিনি খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় পায়ুদ্বার দিয়ে টর্চ ঢুকে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এরকম হওয়া অসম্ভব। যুবক কিছু একটা গোপন করতে চাইছেন বোঝা যায়। কাটোয়া থানার গীধগ্রামের বাসিন্দা বছর চব্বিশের পেশায় নির্মাণকর্মী আলাউদ্দিন শেখের পেটের মধ্যে এক ফুট লম্বা টর্চ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফেরা অনেক নেতাই ফের বিজেপিতে? সুকান্তর দাবিতে তোলপাড় বাংলা
পরিবারের সদস্যদের আলাউদ্দিন বলেছিলেন, তাঁর পায়ুদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য ২০ কিমি পথের কিছুটা টোটোয় কিছুটা বাসে আবার খানিকটা পথ হেঁটে গীধগ্রাম থেকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন। সত্যি কথা কাউকে বলেননি বলে আলাউদ্দিনের আত্মীয়রা জানান। কাটোয়া হাসপাতালে এসে আত্মীয়রা টর্চের কথা জানতে পারেন। প্রবীন শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার বলেন, 'আলাউদ্দিন অপারেশনের আগে আমাকে বলছিল শয়তানে আমার পিছন দিয়ে টর্চ ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক কথার মধ্যে একবার জানিয়েছিল আলাউদ্দিন নিজেই টর্চ ঢুকিয়েছিল। যুবকের কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে। যুবকের কপাল ভাল কোনও অঙ্গ-প্রতঙ্গের ক্ষতি ছাড়াই টর্চ বের করা হয়েছে।'
আলাউদ্দিনের আত্মীয় বকুল শেখ বলেন, 'আমরা হাসপাতালে এসে শুনলাম দেহের মধ্যে টর্চ ঢুকিয়েছে। আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।কীভাবে আলাউদ্দিনের শরীরে টর্চ ঢুকল। মাস তিনেক আগে কেরল থেকে বাড়ি এসেছে।' আলাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছিল বলে এক আত্মীয় জানান। সেকারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে অনুমান পরিবারের। যদিও তিনি ক্যামেরার সামনে এসব কথা বলতে নারাজ। শুক্রবার দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে এসেছিলেন আলাউদ্দিনের মা। সেই সুযোগে আলাউদ্দিন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।
রণদেব মুখোপাধ্যায়