গনধোলাইয়ের ঘটনায় বাড়ির মালিক এনামূল শেখ ও তার ছেলের মজিবুর শেখকে গ্রেফতার করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে রঘুনাথগঞ্জের জরুর গ্রামে এনামূল শেখের বাড়িতে ৪-৫জন চুরি করতে আসে বলে অভিযোগ। বাড়িতে চোর ঢুকেছে বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজন চিৎকার করতে শুরু করে। চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন।
ছুটে পালানোর চেষ্টা করলেও একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকাবাসীরা। বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপরে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভরত টুডু নামের ওই ব্যক্তির। সারা রাত ধরে রাস্তার মধ্যেই পড়ে থাকে মৃতদেহ। খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ আসে।
advertisement
গণ ধোলাইয়ে অভিযুক্ত ৩ জন গ্রামবাসীকে পুলিশ আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর একজনকে ছেড়ে দিলেও বাড়ির মালিক এনামূল শেখ ও তার ছেলের মজিবুর শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে ওমরপুর-মুরারই রাজ্য সড়কে জরুরের কাছে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও অবরোধ তুলে দেয়।
ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রী বলেন, রাতে বাড়িতে কেউ ঢুকেছে বুঝতে পেরেই আমি চিৎকার করে লোক ডাকতে শুরু করি। তখন ওরা ছাদে উঠে যায়। বাকিরা পালিয়ে গেলেও একজন হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। সকলে ওকে মারধর করতে শুরু করে। এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। আমরা আতঙ্কে আছি।
আরও পড়ুন, মাধ্য়মিক দিতে গিয়ে ছাত্রদের বেয়াদপি বরদাস্ত নয়, স্কুলকেই শাস্তি দেবে পর্ষদ
আরও পড়ুন, কাকে বলে শৈত্যপ্রবাহ, কলকাতার হাড়হিম করা ঠান্ডায় কবে রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানুন পূর্বাভাস
এলাকাবাসী রফিউদ্দিন সেখ বলেন, এই এলাকায় চুরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ৪-৫জন মিলে চুরি করার উদ্দেশ্যেই এসেছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেই কারণে রাতে ওই যুবককে হাতে পেয়েই মারধর করে তারপরেই মারা যায়। পুলিশের উচিত রাতের বেলায় এখানে টহলদারি করার।