এদিন আধিকারিক, নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়েই সোনাঝুরির একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান মমতা। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্য নেতামন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে বাজেট পড়ার রেকর্ড! ৮৭-তেই শেষ করলেন নির্মলা
একে এত জনের চা। তার উপরে দোকানে মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে খানিক ঘাবড়েই যায় তরুণী চা বিক্রেতা। সেটা বুঝতে পেরে নিজেই দোকানির কাছ থেকে চা, চিনি, দুধ চেয়ে নেন মমতা। তার পরে উনুনে বসিয়ে দেন চা।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, তরুণীকে চা পরিবেশনের সাহায্য় করতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। জিজ্ঞাসা করেন, "তোমরা রেশন পাও? বাচ্চারা পড়াশোনা করতে যায়? তোমাদের ঘর কোথায়?" মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের একে একে উত্তর দেন তরুণী। শেষে পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন মমতাকে। শুধু চা বিক্রেতা মহিলার সঙ্গেই নন, উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গেও একে একে কথা বলে তাঁদের বাড়িঘর, ছেলেমেয়ের খোঁজ নেন মমতা।
শেষে মেটানো হয় চায়ের বিল। জিজ্ঞাসা করেন, "কত হল? এই ওকে ১০০ কাপ চায়ের পয়সা দাও।" বলেন, "এই তোমার ঘর দেখাও! দেখি কোথায় থাকো!" তারপর নিজেই পর্দা সরিয়ে দেখে নেন কাঁচা বাড়ির ঘরদোর, খাবারের হাঁড়ি। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত ছিল এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: ইনকাম ট্যাক্সে বিপুল ছাড়! বাজেটে আর কী কী বড় ঘোষণা, দেখে নিন ১০ পয়েন্টে
এদিনের সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। বাজেটকে 'গরিব বিরোধী' আখ্যাও দেন। মুখ খোলেন অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়েও। তাঁর দাবি, বোলপুরের লালমাটির গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
