বেশ কিছুদিন ধরে নদিয়ায় গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠছিল। দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর সাফ কথা, 'নদিয়ায় সংগঠন ভাল করে করতে হবে। আমাদের বিধায়করা আশা করি ঝগড়া করবেন না। যে করবেন তার দলে স্থান নেই। কে বড়? আমি না মানুষ। সিম্বল না থাকলে আমি জিরো। যার ইগো থাকবে বাড়িতে বসে যান। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে দেখার দরকার নেই। আমি খুঁজে দেব।'
advertisement
আরও পড়ুন: 'কোথায় সিএএ করবে?' জীবন দিয়ে মতুয়াদের রক্ষার অঙ্গীকার মমতার
মমতার বক্তব্য, 'আমি কো-অর্ডিনেশন কমিটি করছি মহুয়া, উজ্জ্বল, নন্দ, জেলা পরিষদের সভাপতি সহ বিধায়করা। এই পরিবার ভাঙা যাবে না। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷ আমি নতুন পুরনো মিশিয়ে শান্ত পরিবার করে দেব। বেশি ঝগড়া করবেন না। ব্রেন খারাপ হয়ে যায়। ঝগড়া করলে সম্পর্ক রাখব না।'
আরও পড়ুন: আলুর চাষ শুরু হতেই সারের কালোবাজারির রমরমা, মারাত্মক অভিযোগে কৃষকদের
রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদিয়া জেলা। নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে এই জেলায় রাজনৈতিক চর্চা চলছে জোর কদমে। গ্রেফতার হয়েছেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই পদ গিয়েছে বিধায়ক বিমলেন্দু সিনহা রায়ের। এক সময় দলের হয়ে এই জেলা পর্যবেক্ষণ করতেন অধুনা জেল হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফলে এই জেলাকে ঘিরে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বিজেপি, কখনও বামেরা হাতিয়ার করেছে সেই নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে। তুয়া ভোট, গোষ্ঠীকোন্দল আর একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ ছায়া।সেই নদিয়া জেলাতেই রাজনৈতিক সভা করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের আগে তারই রূপরেখা দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।