এ দিন তিনি প্রথমে নামেন কুর্চিবনি নামে একটি গ্রামে৷ সেখানে তিনি আদিবাসী বাড়িতে ঢুকে পড়েন৷ আদিবাসী গ্রামে উন্নয়নের খোঁজ নেন তিনি৷ তিনি ওই গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনারা কৃষক মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে পারেন? কী রান্না হচ্ছে বাড়িতে? আপনারা জানেন এখন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হচ্ছে৷ আপনাদের কাছে সরকারি আধিকারীকরা আসেন? এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন পাওয়া যাচ্ছে?’’ এই সব প্রশ্নের পরেই তিনি ওই বাড়ির সামনে বসে পড়েন৷ কোলে তুলে নেন এক সদ্যোজাতকে৷ সেখানে তখন ভিড় করে এসেছেন এলাকার মানুষ৷ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে মুখ্যমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখার জন্য৷
advertisement
আরও পড়ুন : জেলে কম্বল গায়ে শুয়ে দিল্লির খুনে প্রেমিক, সামনে এলো সিসিটিভি ফুটেজ
আরও পড়ুন : নিথর দেহ পুঁতে সেই জমি সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে বসবাস ৪ বছর, যুবকের হত্যাকাণ্ডে ধৃত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক
এর পর তিনি শিল্লা বাজারে সেখানে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললেন তিনি৷ তিনি বলেন, এখন তো বেলপাহাড়িতে ভাল পর্যটকদের আনাগোনা হচ্ছে৷ সেই পরিস্থিতিতে কী ব্যবসা বেড়েছে৷ রাস্তা ঘাট কেমন আছে, সেই খবরও নেন৷ এর পর মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান মালাবতীর জঙ্গলের পাশের একটি গ্রামে৷ সেখানে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন, সেই গ্রামে সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, এই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে৷ জল আনতে অনেকদূর সাধারণ মানুষকে যেতে হয়৷
কিচ্ছুক্ষণ আগেই সভা থেকে মমতা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বৃত্ত জুড়ে জলের সমস্যার কথা বলেছিলেন৷ এ খানে গ্রামবাসীদের মুখে তিনি কথা শোনেন৷ মমতা এর পর সকলকে তিনি আশ্বাস দেন, সমস্যা তিনি শুনেছেন৷ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হয়৷ আর জলের সমস্যা হবে না আশ্বাস দেন৷ বাড়ি বাড়ি যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছয়, সেই ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন মমতা৷ পাশাপাশি, তিনি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকেও আরও কয়েকটি পুকুর খোড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান৷