পাশাপাশি সরকারি পরিষেবাও তুলে দেন উপভোক্তাদের হাতে। আর এই মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন কেন্দ্রের বকেয়া পাওয়ার দাবিতে যে আন্দোলন ও ধরনা কর্মসূচি চলছে তা আগামী দিনেও চলবে। অন্তত এদিন হাওড়া থেকে ধরনা কর্মসূচি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন “আমাদের ধরনা চলছে। আমি এটা চালিয়ে যাব। হয়তো আমার সময় লাগবে। কিন্তু আপনাদের মুখে আমি হাসি ফোটাবই।”
advertisement
আরও পড়ুন: সব বয়সের মানুষের হাঁটার পরিমাণ কি সমান? যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! জানুন
আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচি কীভাবে পালিত হবে রেড রোডে তার রূপরেখা ইতিমধ্যেই তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধরনা কর্মসূচি লাগাতার চলবে বলেও এদিন হাওড়ার মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি যে পাহারাদার হিসাবেও কাজ করছেন এদিন হাওড়ার মঞ্চ থেকে ফের সেই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: চোখেও স্ট্রোক হয়, কখনও শুনেছেন? কীভাবে বুঝবেন জানুন, দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থেকে বাঁচুন
তিনি বলেন, “আমি জমিদার, জোতদার নই। আমি সরকার। আমি পাহারাদার হিসাবে আছি।” প্রসঙ্গত আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের যে বকেয়া টাকা রয়েছে তা দেবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকেই তা ঘোষণা করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের কিভাবে সেই টাকা দেওয়া হবে তার জন্য এসওপি তৈরি করে জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। যারা টাকা পাবেন সেই সব শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য ভেরিফিকেশনের নির্দেশও দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। একাধিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে।
১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া নিয়ে এদিন ফের হাওড়ার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “১০০ দিনের কাজে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। তাই আমাদের টাকা দেওয়া হল না। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। তাই টাকা দেওয়া বন্ধ।” তিনি আরও বলেন, “আমাকে সংসার চালাতে হয়। আমি আমার প্রাপ্য টাকা পায়নি। মা ভাই বোনেরা যেমন ভাবে সংসার চালান আমিও সেই ভাবে চলাই। কোনও মা ভাই বোনকে বঞ্চিত হতে দেব না।” এদিন হাওড়া জেলা থেকে পূর্ত, স্বাস্থ্য-সহ একাধিক দফতরের প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়