শিক্ষকের বদলির দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়ভিট হাইস্কুল ৷ পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাথর। সংঘর্ষে নিহত দু’জন স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র। জখম অনেকে।
সরাতে হবে স্কুলের এক শিক্ষককে। তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন দানা বেঁধেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে। গত বৃহস্পতিবার তা চরম আকার নেয়।
আরও পড়ুন: বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে করুণাময়ী-টালিগঞ্জ ব্রিজ, বসে গিয়েছে সেতুর একটি অংশসোসো
advertisement
দাড়ভিটের কোএড উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার ৷ কিন্তু পড়ুয়াদের তুলনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই সেই স্কুলে ৷ সেই কারণেই শিক্ষক নিয়োগের বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছিল ৷ তবে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোনও শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে উর্দু এবং সংস্কৃতের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৷ তা নিয়েই আপত্তি জানায় স্কুল পড়ুয়ারা ৷ এরপরই গত বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা স্কুল ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কার্যত বেপরোয়াভাবেই এলাকায় ঢোকে পুলিশের গাড়ি। পুলিশের জিপ ঢুকতে দেখেই শুরু হয় আন্দোলনকারীদের এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি। কার্যত যেন একটুকরো কাশ্মীর উঠে আসে দাড়িভিট স্কুলচত্বরে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গেই শনিবার মিলানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি দুই ছাত্রের ৷ তা হলে এত গুলি কোথা থেকে এল ?’ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷
পাশাপাশি, ইসলামপুর কান্ড নিয়ে সরাসরি বিজেপি এবং আরএসএসকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সমগ্র ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘ছাত্রদের নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে বিজেপি ও আরএসএস। গামছার আড়ালে মুখ লুকিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হামলা করা হয়েছে ও খবর অনুযায়ী পুলিশ গুলি চালায়নি । গোটা ঘটনার পিছনেই রয়েছে বিজেপির ভাড়া করা জঙ্গিরা ও এর দায় নিতে হবে বিজেপি ও আরএসএসকেই ৷’