এ দিন ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ফেরার সময় আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা৷ ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এনআইএ-র আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ৷ ঘটনায় এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভাঙে, দুই এনআইএ আধিকারিক আহতও হন৷
আরও পড়ুন: এআই দিয়ে ভারতে ভোটের ফল বদলে দেবে চিন? মারাত্মক চক্রান্ত ফাঁস করল মাইক্রোসফট
advertisement
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা এনআইএ-র বিরুদ্ধেই কার্যত সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এনআইএ কি পুলিশকে জানিয়ে গিয়েছিল? কেন ওরা মাঝরাতে পুলিশকে না জানিয়ে যাচ্ছে৷ নিয়ম হচ্ছে লোকাল পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া৷ গ্রামের লোকেরা যদি মাঝরাতে পুলিশের পোশাক পরা অচেনা কিছু লোককে দেখে, তাহলে যা হওয়ার তাই হয়েছে৷’
এর পরেই এই ঘটনার জন্য সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কেন গ্রেফতার করবে? বিজেপি কী ভেবেছে, ভোটের আগে আমাদের সব বুথ এজেন্ট, ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করবে? এনআইএ-এর কী অধিকার আছে গ্রেফতার করার? বিজেপি যদি এই নোংরা খেলা খেলে আমরা গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামব৷’
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়৷ স্থানীয় এক তৃণমূলনেতার বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ এই ঘটনার তদন্তে নামে এনআইএ৷ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই কয়েকজন তৃণমূল নেতা সহ আট জনকে তলব করা হয়৷ কিন্তু ভোটের কাজে ব্যস্ত বলে এনআইএ তলব এড়ান প্রত্যেকেই৷ এর পর আজ ভোরে ভূপতিনগরের অর্জুনপুরে হানা দেয় এনআইএ-র একটি দল৷ মনোব্রত জানা এবং বলাইচড়ণ মাইতি নামে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়৷ এর পরেই একদল গ্রামবাসী এনআইএ-র আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে৷ বাঁশ, লাঠি, ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভাঙে, দুই আধিকারিকও আহত হন৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, পুলিশ বাহিনী পাঠানোর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এনআইএ৷ তখনই হামলার ঘটনা ঘটে৷ এই ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআই৷ ধৃত দুই তৃণমূল নেতাকেও কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে৷