কৃষ্ণনগর: ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় সমস্যায় পড়া সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য দলের নেতৃত্বদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিএলএরা যেমন কাজ করছেন করবে। দলও যেন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে। যুদ্ধ যখন বাঁধে, সবাইকে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করতে হয়।” আর বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আরও একবার আক্রমণ শানান।
advertisement
এসআইআর প্রক্রিয়া অপরিকল্পিত। সম্প্রতি বারবার এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভয় বার্তা দিয়ে সাধারণ মানুষকে তাঁর বার্তা, কোনও ভোটারকে হেয়ারিং প্রক্রিয়ায় ডাকা হলে তিনি যেন যান। যা কাগজপত্র আছে, তা নিয়েই যেতে বলেছেন তিনি। কোনও ডকুমেন্টের দরকার হলে সরকার ও দল সাহায্য করবে। তাঁর কথায়, ” সরকারের তরফ থেকে মে আই হেল্প ইউ ক্যাম্প করা হবে। প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই বুথ হবে। সেখান থেকে সব সাহায্য পাওয়া যাবে।”
আরও পড়ুন: ভয়াবহ আগুন অফিসে! মুহূর্তে শেষ ২২ জনের জীবন! জাকার্তার ঘটনায় আঁতকে উঠল বিশ্ব
আর বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি সতর্কতার সুরে বলেন, ”বাংলাকে আমি হাতের তালুর মধ্যে রাখি। কারণ আমি এ রাজ্যকে চিনি। আমি ভোট চাইতে আসিনি। SIR-এর কাগজ ফিলাপ করুন, দিল্লি থেকে ওদের লোক পাঠিয়েছে। ওদের বলা হয়েছে দেড় কোটি নাম বাতিল করতে হবে। একটা নাম বাতিল করতে দেব না, ধর্না দিয়ে বসে থাকব, কারও নাম বাদ গেলে।”
কৃষ্ণনগর থেকে আরও একবার কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা পাই আমরা তোমাদের থেকে। বাংলাকে বঞ্চনা করেছ। এখনও বাংলা ভাষায় কথা বলায় অত্যাচার করছে মারছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিচ্ছে। দিল্লিতে বাংলা ভাষায় কথা বলায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ওরা। ভুলে যেও না, কলকাতা আগে ছিল দেশের রাজধানী। ইংরেজরা কেন এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছিল? কারণ বাঙালিদের মাথা তারা নিচু করাতে পারেনি।‘
