গত বছরের অগাস্ট মাসে যখন গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই, তখন বীরভূমের সংগঠন সামলানোর জন্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ বেশ কয়েকজন নিয়ে কমিটি গড়েন জেলার নেতারাই। পঞ্চায়েত ভোটে এবার কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা ও অভিজিৎ সিনহাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ- ছাড়া কাজল শেখ আছেন। আছেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটকের মতো মন্ত্রীরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট’ .. পটনা বৈঠক টেনে কাকে নিশানা করলেন অভিষেক! ভয়ানক অভিযোগ
ভোটের আগেই জেলার পাঁচ পঞ্চায়েত সমিতি শাসকদলের দখলে। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতও হাতে চলে এসেছে। তার পরেও যে বীরভূম শাসক দলের ‘বিশেষ নজরে’, তার প্রমাণ মিলছে তারকা প্রচারকের তালিকায়। এমন কি, লাগাতার বীরভূমের ময়দানে পড়ে থেকে প্রচার সারছেন ফিরহাদ হাকিম, শতাব্দী রায়৷
গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বহু আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেও জেলা পরিষদের সব আসনে লড়াই হচ্ছে। বাকি দুই স্তরেও অনেক আসনে বিরোধীরা লড়াইয়ে আছে। শাসক দলের মাথাব্যথা ‘গোঁজ’ প্রার্থীও। তার উপরে দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকায় শাসক দলের পরিস্থিতি খুব ভাল নয়। জেলার একমাত্র এই বিধানসভা আসনেই গত ভোটে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে।
ইতিমধ্যেই একাধিক গোঁজ প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব নেতা-কর্মীরা যাতে রাস্তায় নামেন সেই প্রচেষ্টাও নিয়েছে শাসক দল। এই অবস্থায় কেষ্ট বিহীন বীরভূমে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভোকাল টনিক দেন, সেদিকেই চেয়ে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। এর আগে নবজোয়ারে বীরভূমে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন অভিষেক। তৃণমূল নেতৃত্ব আশাবাদী, পঞ্চায়েতে অন্যান্য জেলার মতো বীরভূমেও তাদের ফল ভাল হবে।