কৃষ্ণনগরে দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। নদিয়ার শান্তিপুর ও নবদ্বীপ রাস উৎসবের মাতোয়ারা।শান্তিপুরের বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার কর্মসূচি রয়েছে, এরকমই বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী পরিবারের সূত্রে খবর। বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির সদস্য ও শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান, ২০১৬ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি রাস উৎসবে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছেন। বিধায়ক জানান, " শুনেছি আজ অথবা আগামীকাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বাড়িতে আসতে পারেন।"
advertisement
আরও পড়ুন : কৃষ্ণনগরে আজ জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সভা ঘিরে নজর রাজনৈতিক মহলের
ইতিমধ্যেই বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। রাসের কথা বলতে গেলেই প্রথমে আসে নবদ্বীপের রাসের কথা। তারই দোসর শান্তিপুরের রাস। শান্তিপুরের রাসে পুরাণ আর ইতিহাস মিলে মিশে এক হয়ে যায়। ইতিহাস বলছে, বারো ভুঁইঞার এক ভুঁইঞা ছিলেন যশোরের শাসক প্রতাপাদিত্য। তিনি পুরীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের আমলে পূজিত দোলগোবিন্দের বিগ্রহ যশোরে নিয়ে আসেন। কিন্তু মানসিংহ বাংলা আক্রমণ করলে প্রতাপাদিত্য সেই বিগ্রহ তুলে দেন বারো ভুঁইঞাদের গুরু অদ্বৈতাচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামীর হাতে। তিনি সেই বিগ্রহকে শান্তিপুরে নিয়ে এসে রাধারমণ জীউ নামে প্রতিষ্ঠা করলেন।
আরও পড়ুন : ২০ দিন বয়সি অসুস্থ কন্যাসন্তানকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার তরুণী মা
কিন্তু মথুরেশ গোস্বামীর মৃত্যুর পর এক দিন চুরি হয়ে যায় সেই রাধারমণ জীউ-এর বিগ্রহ। স্থানীয় এক ব্যক্তির স্বপ্নাদেশ লাভের পর, ওই মূর্তি উদ্ধার হয় বিল থেকে। এই ঘটনায় গোস্বামীদের মনে হয়, মাধব বুঝি রাধা বিনা কষ্ট পাচ্ছেন। তাই প্রতিষ্ঠা করা হয় রাধারানিকে। গোস্বামীদের শিষ্য খাঁ চৌধুরীদের প্রস্তাবে রাসের এই দৃশ্য শোভাযাত্রা হিসেবে দেখানো হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এটাই ভাঙা রাস নামে প্রচলিত।