এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, "মহুয়া, আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই! কে কার পক্ষে-বিপক্ষে আমার দেখার দরকার নেই। এই রাজনীতি এক দিন চলতে পারে, চিরদিন নয়। আর একই লোক চিরদিন একই জায়গায় থাকবে, এটা মেনে নেওয়াও ঠিক নয়। যখন ভোট হবে, দল ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে। এখানে কোনওরকম মতপার্থক্য চলবে না। সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। এটা আমি বলে গেলাম।"
advertisement
আমি জানি, কে করেছে না-করেছে। আমি পুলিশকে দিয়ে এনকোয়্যারি (তদন্ত) করিয়েছি। এটা অ্যাকচুয়াল (আসল) ঘটনা নয়। ঘটনাটা সাজিয়ে ঘটানো হয়েছে। তার পর প্রেসকে দেওয়া হয়েছে। আমি এটা এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এবং সিআইডি-কে দিয়ে ক্রসচেক করিয়েছি। আমি জানি তোমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ উঠেছিল (জয়ন্ত)। তোমার এর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।"
বৃহস্পতিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। সকলের সঙ্গ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনেন তাঁদের অভাব অভিযোগ। কৃষ্ণনগর সাংগঠিনক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহার সঙ্গে কথা বলার সময়, এলাকার অশান্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মহুয়া মৈত্রকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সঙ্গে মিলে পুরভোটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন।
চলতি মাসের ১৯ তারিখ কলকাতার পুরভোট। কয়েকমাসের মধ্যেই বাকি পুরসভাগুলির ভোট হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভা থেকে সকলকে এক যোগে লড়াইয়ের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন:দু-চাকায় দৌড়োবে শিল্প! বাংলায় ফের বিপুল লগ্নি! গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে...
কিন্তু কেন এই মন্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর? সম্প্রতি সরকারের প্রকল্পের ঘর দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি হয়েছিল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। পরবর্তীতে পোস্ট অফিস মোড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহাকে কটুক্তি করা হয়। সেই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মহুয়া মৈত্রকে এদিন সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে নদিয়ায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে কর্মসংস্থানে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেলার পুরসভাগুলিকে আরও ভাল করে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই পুর নির্বাচন করাবে সরকার। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় নদিয়া জেলায় পুলিশকে বিএসএফ-এর সঙ্গে আরও ভাল সমন্বয় বজায় রেখে গোলমাল এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, "আমাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থান বাড়ানো।" এ জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের। পাশাপাশি বিএসএফ যাতে অনুমতি ছাড়া গ্রামে ঢুকে কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএসএফ তাদের কাজ করবে, পুলিশ তাদের কাজ করবে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে।