চাঁদা মৌজায় প্রথম পর্যায়ের খনন স্থলে বসেছে বেশ কিছু দোকানপাট। মূলত এই কয়লা খনির খননের কাজ শুরু হবার পরেই বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ভাবে করা হয়েছে দোকানগুলি। যেখানে বিক্রি হচ্ছে চা, বিস্কুট, চপ, মুড়ি, ঘুগনি বেগুনির মতো খাবার।
দোকানের মালিকের দাবি, ‘এখানে শয়ে শয়ে মানুষ আসছেন, দলে দলে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দিবারাত্রি থাকছেন প্রচুর পুলিশ কর্মী। তারা এসে খাচ্ছেন আমাদের দোকানগুলিতে। এমনকী কিছু কিছু সময় এতটাই ভিড় থাকছে যে, ক্রেতাদের খাবার দিতে কার্যত হিমশিম খেয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখতে হচ্ছে দোকান। সারাদিনে আয় ও হচ্ছে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তাতে সংসারও চলছে বেশ ভালই।’ স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের পর এবার পরোক্ষ কর্মসংস্থানও দেখা গেল কয়লা খনি প্রকল্প এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন বৃষ্টি বাংলার ৪ জেলায়, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হাসফাঁস গরম শুরু কবে? আবহাওয়ার খবর
সরকার নির্ধারিত সেই জমিতে একদিকে খনন যেমন চলছে। অন্যদিকে, আদিবাসীদের সম্মান জানাতে ওই এলাকায় থাকা ৯৮০টি মহুল, অর্জুন গাছের প্রতিস্থাপন চলছে। সঙ্গে খনন দেখতে রোজই ভিড় জমছে। ফাঁকা মাঠে তাঁদের পানীয় জল থেকে খাবার যোগান দিতে প্রতিদিন বাড়ছে অস্থায়ী খাবারের দোকান। দু’টি গাছের মাঝে দড়ি বেঁধে নীচে বাড়ি থেকে আনা কাঠের তক্তপোষেই পসরা ঘুগনি, চা, ডিম সিদ্ধ আরও অনেক কিছু। কেউ আবার রাস্তার ধারে নতুন ত্রিপল, বাঁশের বাতা দিয়ে বেঞ্চ বানিয়ে সেখানেই তৈরি করেছেন ছোট দোকান।
এদিকে মেশিন দিয়ে গাছ প্রতিস্থাপন করা হলেও সেখানে কোদাল, শাবল দিয়ে গাছের শিকড় কাটা থেকে ওষুধ দেওয়ার কাজে ২৬ জন শ্রমিককে কাজে লাগিয়েছে এজেন্সি। পাশের কাপাসডাঙ্গা গ্রাম থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ বায়েন দুটি অর্জুন গাছের ফাঁকে খাবার দোকান দিয়েছে। সকালে মা দু’হাঁড়িতে ঘুগনি আর আলুর দম করে দেয়। সন্ধে হতে হতে শেষ। তাদের জমি আছে প্রস্তাবিত খনি এলাকায়। চাকরি যতদিনে হবে হোক। এখন স্কুল ছুটি। তার ফাঁকে এই খাবার দোকান থেকেই তার আয় শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে কয়লা খনির প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হতে খুশির হাওয়া আদিবাসী গ্রামে।
সৌভিক রায়