শেষ পর্যন্ত এ দিন কালীঘাটে বীরভূম জেলা নিয়ে বৈঠকে বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে জোর ধমক দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমন কি, লোকসভা নির্বাচনের জন্য বীরভূম জেলার জন্য যে নতুন কোর কমিটি এ দিন তৈরি করা হয়েছে, তাতেও ঠাঁই হয়নি কাজলের৷ বরং সেখানেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে অনুব্রতপন্থীদেরই৷
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের পরই রাহুল গান্ধিকে গ্রেফতার! হুঁশিয়ারি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
advertisement
গত মাসে পৌষ মেলার আয়জোন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক৷ দলের বিরোধী শিবিরের এক নেতার পাশে বসা নিয়ে সেই বৈঠক ছেড়ে মাঝপথেই বেরিয়ে যান কাজল শেখ৷ সূত্রের খবর, কাজলের এই আচরণে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন কালীঘাটে বৈঠক চলাকালীন ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কাজল শেখের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তুমি কতবড় নেতা হয়ে গেছো। যে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ছ?’
শুধু তাই নয়, গোটা বীরভূম জেলা থেকেই কাজল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে৷ এ দিন কার্যত কাজল শেখের ডানা ছেঁটে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কাজলকে সতর্ক করে এ দিন তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘দল তোমাকে জেলা সভাধিপতির দায়িত্ব দিয়েছে। আবার সেই দায়িত্ব থেকে সরাতেও পারে। মনে রেখো তুমি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। গোটা বীরভুম জেলা দাপিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই। আপাতত তোমাকে নতুন কোর কমিটিতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। পরে প্রয়োজনে ডেকে নেওয়া হতে পারে।’
এ দিনের বৈঠকে বার বারই জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা করেন তৃণমূলনেত্রী৷ অনুব্রত জেলে থাকলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ পাঁচ নেতাকে নিয়েই কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন মমতা৷ কাজল শেখকে শুধুমাত্র তাঁর নিজের এলাকা নানুর এবং কেতুগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷