আরও পড়ুনঃ ভাসছে শান্তিপুর! কেন ঘর ছাড়া হতে এতগুলো পরিবারকে? প্রশ্নের মুখে কাউন্সিলর
জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি গঙ্গাসাগরকে সাজিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। সেই পরিকল্পনার মধ্যে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে একটি কাঠের বাংলো তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। কোটি টাকার উপরে খরচ করে গঙ্গাসাগরের পাঁচ নম্বর সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি সেগুন কাঠ দিয়ে বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
গঙ্গাসাগরের স্থানীয় এক বাসিন্দা গৌড় দাস বলেন, ‘‘যখন কাঠের এই বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল, সেই সময় সমুদ্র প্রায় দেড়শ মিটার দূরে ছিল। কিন্তু বর্তমান বাংলোর একেবারে গায়ের কোলে সমুদ্র চলে এসেছে। বাংলোর সামনের ঢালাই রাস্তাটিও সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। সমুদ্র সৈকতের আর কিছুটা অংশ ভাঙলেই বাংলোটি সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। আগামী দিনে এই বাংলো রক্ষা করা যাবে কিনা তাই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।’’
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “গত দু’বছর ধরে অতিমাত্রায় সমুদ্রের পাড় ভাঙছে। কাঠের বাংলোটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলোটিকে সুরক্ষিত করার জন্য চেষ্টা চলছে।”
বিশ্বজিৎ হালদার